১৭২ মৃচ্ছকটিক । যুবতী স্ত্রী নারী-সনে, ছিনু আমি সুশোভিত গন্ধৰ্ব্ব সমান ॥ ক্ষণে গ্রন্থি বন্ধন, ক্ষণে জটা ধারণ, ক্ষণে এলো-মেলো ঢিলে-ঢালা । ক্ষণে খোলা-চুল ঝোলা, ক্ষণে চুড়া উন্ধে তোলা, চিত্ররূপী আমি রাজ-শালা ॥ তাছাড়–মৃণাল-গ্রন্থির মধ্যে যেমন কীট প্রবেশ করে পথ অন্বেষণ করতে করতে একটা পরিসর স্থান পায়, আমিও তেমনি স্বল্প স্থত্রে বৈরনিৰ্য্যাতনের একটা বেশ অবসর পেয়েছি—এখন কার ঘাড়ে এই দুষ্কৰ্ম্মটা চাপাই ? হা মনে পড়েছে, দরিদ্র চারুদন্তেরষ্টঘাড়ে চাপানো যাক্ । সে দরিদ্র, লোকে তার পক্ষে সকলই সম্ভব বলে’ মনে করবে। সেই কথাই ভাল । আগে বিচার-মণ্ডপে গিয়ে অভিযোগটা এই বলে’ লেখাই যে, চারুদত্ত ঘাড় মট কে বসস্তসেনাকে বধ করেছে । এখন তবে বিচারমণ্ডপে যাই । এইতো বিচার-মণ্ডপ—এইবার প্রবেশ করা যাক । , এই যে আসন সব প্রস্তুত ৷ যতক্ষণ না বিচারকেরা আসেন ততক্ষণ আমি এই দুৰ্ব্ব-ঘাসের চাতালে একটু বসে অপেক্ষা করি । (তথা অবস্থিত) শোধনক —(অন্তদিকে পরিক্রমণ করিয়া সম্মুখে দেখিয়া ) এই বিচারকের আসূচন, আমি তবে এগিয়ে নিকটে যাই । (নিকটে গমন) শ্ৰেষ্ঠী ও কায়স্থাদি দ্বারা পরিবেষ্টিত হইয়া বিচারকের প্রবেশ । বিচারক —দেখ শ্রেষ্ঠ, কায়স্থ । উভয়ে —আজ্ঞে করুন
পাতা:মৃচ্ছকটিক.djvu/১৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।