পাতা:মৃচ্ছকটিক.djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ মৃচ্ছকটিক । বিদূষকের প্রবেশ । বিদু –হি! হি! হি! ওহে! পশুবধের স্থানে ছাগলকে নিয়ে এলে যেমন তার প্রাণটা ধড়-ফড় করতে থাকে, এই প্রদীপটাও সেই রকম সন্ধ্যার বাতাসে ফুর-ফুর কচ্চে। (অগ্রসর হইয়া রদনিককে দেখিয়া ) ওগো রদনিকে ! শকার –(বিদূষককে দেখিয়া ) এটা ঠিক নয়—এটা উচিত নয় যে এখন চারুদত্ত গরিব হয়ে গেছে বলে একজন পরপুরুষ তার গৃহে এসে ঢুকবে । রদ –মৈত্ৰেয়-মশায়! দেখুন, আমাকে এরা কি অপমানটাই কর্চে । বিদু —তোমার অপমান—না, আমাদের অপমান ? রদ –ছ, এতে আপনাদেরই অপমান । বিদু।–কি ?—বলপ্রয়োগ নাকি ? রদ —হঁী, মশায় । বিন্ধু –সত্যি ? রদ –সত্যি বলচি । বিদু –(সক্রোধে লাঠি উঠাইয়া ) ত কিছুতেই হবে না। ওহে দেখ, নিজ গৃহে কুকুরটাও রুখে ওঠে, তা আমিতো ব্রাহ্মণ ; ত, এই আমার শুকুন বঁাশের বাক লাঠি দিয়ে তোর মাথাটা ভেঙ্গে গুড়ো করে দি আয় । বিট —ওগো মহাব্ৰাহ্মণ, মেরো না, মেরো না, ক্ষাস্ত হও । বিদু –(বিটকে দেখিয়া ) না, এ কোন অপরাধ করেনি—ঐ লোকটাই অপরাধী। ওরে বাট রাজার শালা –সংস্থানক —দুর্জন ! —দুমৰ্হষ্য ! এই কি তোর উচিত কাজ ? যদিও চারুদত্ত মহাশয় এখন দরিদ্র হয়েছেন, তবু কি তার গুণে সমস্ত উজ্জয়িনী অলঙ্কত নয় ? তবে