পাতা:মৃচ্ছকটিক.djvu/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অঙ্ক । ২৭ শকার –কাদালে কে ? বিদুষক —দারিদ্র্য—আবার কে ? শকার –তবে হাস্। বিদুষক –হাল্ব এক সময়ে । শকার –কখন ? বিদু –আবার যখন চারু দত্ত-মহাশয়ের ধন-ঐশ্বৰ্য্য হবে। শকার –ওরে দুষ্ট বটু, আমার নাম করে, দরিদ্র চারু দত্তকে তবে এই কথা বলিস্ —“নব নাটকের স্বত্রধারের মত, স্বর্ণ-কাঞ্চনে ভূষিতা, বসন্তসেন নামে একজন বেগু কামদেবের মন্দির উদ্যানে তোমাকে দেখে অবধি তোমার প্রতি অনুরক্ত—আমরা তার প্রতি বল-প্রয়োগ করায়, তোমার ঘরে সে প্রবেশ করেছে ; তা এখন যদি তুমি আপনা হতে— বিচারালয়ের বিনা-নালীসে—তাকে আমার হাতে সমর্পণ কর, তাহলে তোমার সঙ্গে আমার প্রতি-সম্ভাব থাকৃবে—নচেৎ আমরণ তোমার সঙ্গে আমার শক্রেতা হবে । ভেবে দেখ :– যে কুষ্মাণ্ডের বৃস্ত গোময়ে লেপিত, শুষ্ক শাক, ভাজা মাংস ঘৃতাদি-শোধিত, যে ভাত হয়েছে সিদ্ধ হেমস্তের রাতে, বেলা গতে তবু নাছি পুতি-গন্ধ তাতে” । এই কথাগুলি আমার হয়ে তুই শীঘ্র তাকে বলগে যা —আমি ততক্ষণ আমাদের নূতন প্রাসাদের ছাদে পায়রার টঙের উপর বসে থাকিগে, সেইখান থেকে তোর কথা আমি শুনতে চাই। আর যদি না বলি, তা হলে কপাটের-তলে-ভাঙ্গা কাবেলের মত মাথাটা তোর মড়মড় করে ভাঙ্গ ব। বিদূ –আচ্ছা বলব।