চতুর্থ খণ্ড প্রথম পরিচ্ছেদ উৰ্ণনাভ যতক্ষণ মৃণালিনীর মুখের তারা ডুবিতেছিল, ততক্ষণ গৌড়দেশের সৌভাগ্যশশীও সেই পথে যাইতেছিল। যে ব্যক্তি রাখিলে গৌড় রাখিতে পারিত, সে উর্ণনাভের স্যায় বিরলে বসিয়া অভাগ৷ জন্মভূমিকে বদ্ধ করিবার জন্য জাল পাতিতেছিল। নিশীথ সময়ে নিভৃতে বসিয়া ধৰ্ম্মাধিকার পশুপতি, নিজ দক্ষিণহস্তস্বরূপ শাস্তলীলকে ভৎসনা করিতেছিলেন, “শাস্তুশীল ! প্রাতে যে সংবাদ দিয়াছ, তাহা কেবল তোমার অদক্ষতার পরিচয় মাত্র। তোমার প্রতি আর কোন ভার দিবার ইচ্ছা নাই।” শাস্তশীল কহিল, “যাহা অসাধ্য, তাহ পারি নাই। অন্ত কার্য্যে পরিচয় গ্রহণ कृद्भग्न * প। সৈনিকদিগকে কি উপদেশ দেওয়া হইতেছে ? শা। এই যে, আমাদিগের আজ্ঞ না পাইলে কেহ না সাজে। প। প্রাস্তপাল ও কোষ্ঠপালদিগকে কি উপদেশ দেওয়া হইয়াছে ? শা। এই বলিয়া দিয়াছি যে, অচিরাং যবন-সম্রাটের নিকট হইতে কর লইয়া কয় জন যবন দূতস্বরূপ আসিতেছে, তাহাদিগের গতিরোধ না করে। প। দামোদর শর্মা উপদেশানুযায়ী কাৰ্য্য করিয়াছেন কি না ? শা। তিনি বড় চতুরের স্যায় কাৰ্য্য নির্বাহ করিয়াছেন। প। সে কি প্রকার ? শা। তিনি একখানি পুরাতন গ্রন্থের একখানি পত্র পরিবর্তন করিয়া তাহাতে আপনার রচিত কবিতাগুলি বসাইয়াছিলেন। তাহ লইয়া অদ্য প্রাহ্লে রাজাকে শ্রবণ করাইয়াছেন এবং মাধবাচার্য্যের অনেক নিন্দ করিয়াছেন। প। কবিতায় ভবিষ্যৎ গৌড়বিজেতার রূপবর্ণনা সবিস্তারে লিখিত আছে। সে বিষয়ে মহারাজ কোন অনুসন্ধান করিয়াছিলেন ?
পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।