পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏtు মৃণালিনী ভাবান্তরে সন্তুষ্ট হইলেন না। তথাপি পুনরুপ্তম করিয়া পশুপতি কহিলেন, “কিন্তু কুলীতি ত শাস্ত্রমূলক নহে, কুলনাশে ধর্শ্বনাশ বা জাতিভ্রংশ হয় না। তাহার অজ্ঞাতে যদি তোমাকে বিবাহ করিতে পারি, তবে ক্ষতিই কি ? তুমি সম্মত হইলেই, তাহ পারি। পরে তোমার পিতামহ জানিতে পারিলে বিবাহ ত ফিরিবে না।” মনোরম কোন উত্তর করিল না। সে সকল শ্রবণ করিয়াছিল কি না সন্দেহ। একটি কৃষ্ণবর্ণ মার্জার তাহার নিকটে আসিয়া বসিয়াছিল, সে সেই বিনামূত্রের মালা তাহার গলদেশে পরাইতেছিল। পরাইতে মালা খুলিয়া গেল। মনোরম তখন আপন মস্তক হইতে কেশগুচ্ছ ছিন্ন করিয়া, তৎসূত্রে আবার মালা গাঁথিতে লাগিল । পশুপতি উত্তর না পাইয়া নিঃশব্দে মালাকুমুমমধ্যে মনোরমার অনুপম অঙ্গুলির গতি মুদ্ধলোচনে দেখিতে লাগিলেন। - তৃতীয় পরিচ্ছেদ বিহঙ্গী পিয়রে পশুপতি মনোরমার বুদ্ধিপ্ৰদীপ জালিবার অনেক যত্ন করিতে লাগিলেন, কিন্তু ফলোৎপত্তি কঠিন হইল। পরিশেষে বলিলেন, “মনোরম, রাত্রি অধিক হইয়াছে। আমি শয়নে যাই ।” so মনোরম অমানবদনে কহিলেন, “যাও।” পশুপতি শয়নে গেলেন না। বসিয়া মালা গাথা দেখিতে লাগিলেন। আবার উপায়াস্তুর স্বরূপ, ভয়সূচক চিন্তার আবির্ভাৰে কাৰ্য্য সিদ্ধ হইবেক ভাবিয়া, মনোরমাকে ভীতা করিবার জঙ্ক পশুপতি কহিলেন, "মনোরমা, যদি ইতিমধ্যে যবন আইসে, তবে তুমি কোথায় যাইবে ?” মনোরম মালা হইতে মুখ না তুলিয়া কহিল, “বাটতে থাকিৰ।” পশুপতি কহিলেন, “বাটীতে তোমাকে কে রক্ষা করিবে ?” মনোরম পূর্ববং অন্ত মনে কহিল, “জানি না ; নিরুপায়।” পশুপতি আবার জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি আমাকে কি বলিতে মন্দিরে আসিয়াছ " - ম। দেবতা প্ৰণাম করিতে। . " . . . , . . . . . . . . . . . . . . . "