भूणिर्नैौ وأنه لا সেনাবলহীন রাজধানীর নাগরিকের ভীত হইয় গৃহমধ্যে প্রবেশ করিল দ্বার রুদ্ধ করিয়া সভয়ে ইষ্টনাম জপ করিতে লাগিল । - যবনের রাজপথে যে দুই একজন হতভাগ্য আশ্রয়হীন ব্যক্তিকে વાહ छ्हेल, তাহাদিগকে শূলবিদ্ধ করিয়া রুদ্ধদ্বার ভৰন সকল আক্রমণ করিতে লাগিল। কোথায়ও বা দ্বার ভগ্ন করিয়া, কোথায়ও বা প্রাচীর উল্লঙ্গন করিয়, কোথায়ও বা শঠতাপূর্বক ভীত গৃহস্থকে জীবনাশা দিয়া গৃহপ্রবেশ করিতে লাগিল। গৃহপ্রবেশ করিয়া, গৃহস্থের সৰ্ব্বস্থাপহরণ, পশ্চাৎ স্ত্রীপুরুষ, বৃদ্ধ বনিত, বালক সকলেরই শিরচ্ছেদ, ইহাই নিয়মপুৰ্ব্বক করিতে লাগিল। কেবল যুবতীর পক্ষে দ্বিতীয় নিয়ম। শোণিতে গৃহস্থের গৃহ সকল প্লাবিত হইতে লাগিল। শোণিতে রাজপথ পঙ্কিল হইল। শোণিতে যবনসেন রক্তচিত্রময় হইল। অপহৃত দ্ৰব্যজাতের ভীরে অশ্বের পৃষ্ঠ এবং মনুষের স্বন্ধ পীড়িত হইতে লাগিল। শূলাগ্রে বিদ্ধ হইয়া ব্রাহ্মণের মূও সকল ভীষণভাব ব্যক্ত করিতে লাগিল। ব্রাহ্মণের যজ্ঞোপবীত অশ্বের গলদেশে জুলিতে লাগিল। সিংহাসনস্থ শালগ্রামশিলা সকল যবন-পদাঘাতে গড়াইতে লাগিল। ভয়ানক শব্দে নৈশাকাশ পরিপূর্ণ হইতে লাগিল। অশ্বের পদধ্বনি, সৈনিকের কোলাহল, হস্তীর বুহিত, যবনের জয়শ, তদুপরি পীড়িতের আর্তনাদ। মাতার রোজন,
শিশুর রোদন ; বুদ্ধের করুণাকাজক্ষা, যুবতীর কণ্ঠবিদার। যে বীরপুরুষকে মাধবাচাৰ্য্য এত যন্ত্রে যবনদমনার্থ নবদ্বীপে লইয়া আসিয়াছিলেন, এ সময়ে তিনি কোথা ? * এই ভয়ানক যবনপ্রলয়কালে, হেমচন্দ্র রণোন্মুখ নহেন। একাকী রণোন্মুখ হইয়৷ কি করিবেন ? হেমচন্দ্র তখন আপন গৃহের শয়নমন্দিরে, শয্যোপরি শয়ন করিয়া ছিলেন। নগরাক্রমণের কোলাহল উহার কর্ণে প্রবেশ করিল। তিনি দিজিয়কে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিসের শব্দ ?” ്. দিগ্বিজয় কহিল, “যবনসেন নগর আক্রমণ করিয়াছে।” হেমচন্দ্র চমৎকৃত হইলেন। তিনি এ পর্যন্ত বখতিয়ারকর্তৃক রাজপুরাধিকার এবং রাজার পলায়নের বৃত্তান্ত শুনেন নাই। দিগ্বিজয় তৰিশেষ হেমচন্ত্রকে শুনাইল। হেমচন্দ্ৰ কহিলেন, “নাগরিকের কি করিতেছে ” . . দি । যে পারিতেছে পলায়ন করিতেছে, ষে না পারিতেছে সে প্রাণ হারাইতেছে।