পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃণালিনী مطالِهِ لاَ দেখিলেন গৃহমধ্যে যবন নাই। কিন্তু গৃহমধ্যে যবনঙ্গেরাজ্যের চিহ্ন সকল বিদ্যমান রহিয়াছে। দ্রব্যাদি প্রায় কিছুই নাই, যাহা আছে তাহার ভয়াৰন্থ, আর এক ব্ৰাহ্মণ আহত অবস্থায় ভূমে পড়িয়া আৰ্ত্তনাদ করিতেছে। সে এ প্রকার গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হইয়াছে যে, মৃত্যু আসন্ন। হেমচন্দ্রকে দেখিয়া সে যবনভ্রমে কহিতে লাগিল, *আইস-প্রহার কর—শীঘ্ৰ মরিব-মার—আমার মাথা লইয়া সেই রাক্ষসীকে দিও— আ:-প্রাণ যায়—জল ! জল। কে জল দিবে।” হেমচন্দ্র কহিলেন, “তোমার ঘরে জল আছে ?” ব্রাহ্মণ কাতরোক্তিতে কহিতে লাগিল, “জানি না—মনে হয় না—জল ! জল । পিশাচী !—সেই পিশাচীর জন্য প্রাণ গেল !” হেমচন্দ্র কুটারমধ্যে অন্বেষণ করিয়া দেখিলেন, এক কলসে জল আছে। পাত্রাভাবে পত্রপুটে তাহাকে জলদান করিলেন। ব্রাহ্মণ কহিল, “ন!—না! জল খাইব না! যবনের জল খাইব না ।” হেমচন্দ্ৰ কহিলেন, “আমি যবৰ নহি, আমি হিন্দু, আমার হাতের জল পান করিতে পার। আমার কথায় বুঝিতে পারিতেছ না ?” ব্রাহ্মণ জল পান করিল। হেমচন্দ্র কহিলেন, “তোমার আর কি উপকার করিব ?” बाक्रम कश्णि, “आब्र कि कबित्द ? आब्र कि ? चामि भत्रि ! भत्रि! cय बत्त्व তাহার কি করিবে ?” *. হেমচন্দ্র কছিলেন, “তোমার কেহ আছে ? তাহাকে তোমার নিকট রাখিয়া যাইব?” ব্ৰাহ্মণ কহিল, “আর কে-কে আছে । . ঢের আছে। তার মধ্যে সেই রাক্ষসী ! সেই রাক্ষসী—তাহাকে—বলিও—বলিওঁ আমার অপ—অপরাধের প্রতিশোধ হইয়াছে।” হেমচন্দ্র। কে সে ? কাহাকে বলিব ? - ব্রাহ্মণ কহিতে লাগিল, “কে সে পিশাচী । পিশাচী চেন না ? পিশাচী মৃণালিনীমৃণালিনী! মৃণালিনী-পিশাচী ।” - ব্রাহ্মণ অধিকতর আর্তনাদ করিতে লাগিল । হেমচন্দ্র মৃণালিনীর নাম শুনিয়া চমকিত হুইলেন। জিজ্ঞাসা করিলেন, “মৃণালিনী তোমার কে হয় ?” ব্রাহ্মণ কহিলেন, “মৃণালিনী কে হয় ? কেহ না-আমার যম।" হেমচন্দ্র । মৃণালিনী তোমার কি করিয়াছে ? ব্ৰাহ্মণ। কি করিয়াছে –কিছু ন-আমি-আমি তার ছৰ্দশ করিয়াছি, তাহার প্রতিশোধ झहेल- • - - |