. ...:” ... . - " - ” , - . . . " * - - - - - - - - - ," - fi f মা। গৌড়েশ্বরের সেনা আছে। - o - * হে। থাকিতে পারে—সে বিষয়েও কতক সন্দেহ ; কিন্তু যদি থাকে, তবে জাহার আমার অধীন হইবে কেন ? - - ম। তুমি আগে যাও। নবদ্বীপে আমার সহিত সাক্ষাৎ হইবে। লেইখানেই , গিয়া ইহার বিহিত উদ্যোগ করা যাইবে । গৌড়েশ্বরের নিকট আমি পরিচিত আছি। “যে আজ্ঞা” বলিয়া হেমচন্দ্র প্রণাম করিয়া বিদায় হইলেন। যতক্ষণ র্তাহার বীরযুক্তি নয়নগোচর হইতে লাগিল, আচাৰ্য্য ততক্ষণ তৎপ্রতি অনিমেষলোচনে চাহিয়৷ রছিলেন। আর যখন হেমচন্দ্র অদৃশ্ব হইলেন, মাধবাচাৰ্য্য মনে মনে বলিতে লাগিলেন, “যাও, বৎস! প্রতি পদে বিজয় লাভ কর। যদি ব্রাহ্মণবংশে আমার জন্ম হয়, তবে তোমার পদে কুশাঙ্কুরও বিধিবে না। মৃণালিনী । মৃণালিনী পাখী আমি তোমারই জন্তে পিছরে বায়ি রাখিয়াছি। কিন্তু কি জানি, পাছে তুমি তাহার কলধ্বনিতে মুগ্ধ হইয়া বড় কাজ ভুলিয়া যাও, এইজন্য তোমার পরম-মঙ্গলাকারী ব্রাহ্মণ তোমাকে কিছু দিনের জন্য মনঃপীড়া দিতেছে।” 患 দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ পিঞ্জরের বিহঙ্গী লক্ষ্মণাবতী-নিবাসী হৃষীকেশ সম্পন্ন বা দরিদ্র ব্রাহ্মণ নহেন। র্তাহার বাসগৃহের বিলক্ষণ সৌষ্ঠব ছিল। তাহার অন্তঃপুরমধ্যে যথায় হুইটি তরুণী কক্ষপ্রাচীরে আলেখ্য লিখিতেছিলেন, তথায় পাঠক মহাশয়কে দাড়াইতে হইবে। উভয় রমণীই আত্মকৰ্ম্মে সবিশেষ মনোভিনিবেশ করিয়াছিলেন, কিন্তু তন্নিবন্ধন পরস্পরের সহিত কথোপকথনের কোন বিল্প জন্মিতেছিল না। সেই কথোপকথনের মধ্যভাগ হইতে পাঠক মহাশয়কে শুনাইতে আরম্ভ করিব। এক যুবতী অপরকে কহিলেন, “কেন, মৃণালিনি, কথার উত্তর দিস না কেন ? আমি সেই রাজপুত্রটির কথা শুনিতে ভালবাসি।” - “সই মণিমালিনি ! তোমার মুখের কথা বল, আমি আনন্দে শুনিব।”
পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।