পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$* “श्रुबानिनौ অভিলাষ থাকিলে তিনি এই আঙ্গটি পাঠাইয়া দিতেন। আমাদিগের বাটীর পিছনে? বাগান ছিল। যমুনা হইতে শীতল বাতাস সেই বাগানে নাচিয়া বেড়াইত। তথায় গুহার সহিত সাক্ষাৎ হইত। মণিমালিনী কহিলেন, “ঐ কথাটি মনে পড়িলেও আমার বড় অসুখ হয়। তুমি . কুমারী হইয়া কি প্রকারে পুরুষের সহিত গোপনে প্রণয় করিতে ?” মৃ। অসুখ কেন সখি—তিনি আমার স্বামী। তিনি ভিন্ন অন্য কেহ কখন আমার স্বামী হুইবে না । ম। কিন্তু এ পর্য্যস্তু ত তিনি স্বামী হয়েন নাই। রাগ করিও না সখি ! তোমাকে ভগিনীর স্বায়ু ভালবাসি ; এই জন্য বলিতেছি। মৃণালিনী অধোবদনে রহিলেন । ক্ষণেক পরে চক্ষুর জল মুছিলেন। কহিলেন, “মণিমালিনি ! এ বিদেশে আমার আত্মীয় কেহ নাই। আমাকে ভাল কথা বলে, এমন কেহ নাই । যাহারা আমাকে ভালবাসিত, তাহাদিগের সহিত যে, আর কখনও সাক্ষাৎ হইবে, সে ভরসাও করি না । কেবলমাত্র তুমি আমার সখী—তুমি আমাকে ভাল না বাসিলে কে আর ভালবাসিবে ”ি ম। আমি তোমাকে ভালবাসিব; বাসিয়াও থাকি, কিন্তু যখন ঐ কথাটি মনে পড়ে, তখন মনে করি— মৃণালিনী পুনশ্চ নীরবে রোদন করিলেন। কহিলেন, “সখি, তোমার মুখে এ কথা আমার সহ হয় না। যদি তুমি আমার নিকটে শপথ কর যে, যাহা বলিব, তাহ এ সংসারে কাহারও নিকটে ব্যক্ত করিবে না, তবে তোমার নিকট সকল কথা প্রকাশ করিয়া বলিতে পারি। তাহা হইলে তুমি আমাকে ভালবাসিবে ।” ম। আমি শপথ করিতেছি । মৃ। তোমার চুলে দেবতার ফুল আছে। তাহা ছুয়ে শপথ কর। মণিমালিনী তাই করিলেন । তখন মৃণালিনী মণিমালিনীর কাণে যাহা কছিলেন, তাহার এক্ষণে বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন নাই। শ্রবণে মণিমালিনী পরম ঐতি প্রকাশ করিলেন। গোপন কথা সমাপ্ত হইল । - মণিমালিনী কহিলেন, “তাহার পর, মাধবাচার্য্যের সঙ্গে তুমি কি প্রকারে আসিলে ? সে বৃত্তাস্তু বলিতেছিলে বঙ্গ ’