जूखैौ ఫి গি । পরের জন্যেই মলেম । তবে চল । এই বলিয়া গিরিজায় দিগ্বিজয়ের সঙ্গে চলিলেন । দিগ্বিজয় অশোকতলস্থ হেমচন্দ্রকে খাইয়া দিয়া অন্যত্র গমন করিল। হেমচন্দ্র অন্তমনে মৃন্থ মৃহ গাইতেছিলেন, “বিকচ নলিনে, যমুনা-পুলিনে, বহুত পিয়াস রে—” গিরিজায়৷ পশ্চাৎ হইতে গায়িল— “চন্দ্রমাশালিনী, যা মধু্যামিনী, ন মিটল আশা রে।” গিরিজায়াকে দেখিয়া হেমচন্দ্রের মুখ প্রফুল্প হইল। কহিলেন, “কে গিরিজায় ! শি। কি মিটুল ?” গি। কার আশা ? আপনার না আমার ? হে । আমার আশা । তাহা হইলেই তোমার মিটিবে। গি। আপনার আশা কি প্রকারে মিটিবে ? লোকে বলে রাজা রাঙ্গুড়ার আশা ভূতেই মিটে না । - হে । আমার অতি সামান্য আশা । গি। যদি কখন মৃণালিনীর সাক্ষাৎ পাই, তবে এ কথা তাহার নিকট বলিব। হেমচন্দ্র বিষ হইলেন। কহিলেন, “তবে কি আজিও মৃণালিনীর সন্ধান পাও ই ? আজি কোন পাড়ায় গীত গাইতে গিয়াছিলে ?” - গি। অনেক পাড়ায়—সে পরিচয় আপনার নিকট নিত্য নিত্য কি দিব ? অs থা বলুন। হেমচন্দ্র নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিলেন, “বুঝিলাম বিধাতা বিমুখ। ভাল পুনৰ্ব্বার লি সন্ধানে যাইবে।” গিরিজায়। তখন প্রণাম করিয়া কপট বিদায়ের উদ্যোগ করিল। গমনকালে মচন্দ্র তাহাকে কহিলেন, “গিরিজায়, তুমি হাসিতেছন, কিন্তু তোমার চক্ষু হাসিতেছে জি কি তোমার গান শুনিয়া কেহ কিছু বলিয়াছে ?” - গি। কে কি বলিবে ? এক মাগী তাড়া . করিয়া মারিতে আসিয়াছিল—বলে রাবাসিনীর জন্তে শু্যামসুন্দরের ত মাথাব্যথা পড়িয়াছে। হেমচন্দ্র দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া অফুটম্বরে,যেন আপন আপনি কহিতে লাগিলেন, উ যত্বেও যদি সন্ধান না পাইলাম, তবে আর বৃথা আশা—কেন মিছা কালক্ষেপ করিয়া সুকৰ্ম্ম নষ্ট করি –গিরিজায়ে, কালি তোমাদিগের নগর হুইতে বিদায় হুইব ।”
পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।