পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जूडी ૨8 হেমচন্দ্র বাষ্পাকুললোচনে গদগদম্বরে গিরিজায়াকে কহিলেন, “এ আমারই মৃণালিনী । তুমি তাহাকে কোথায় দেখিলে ?” গি । দেখিলাম সরোবরে, কঁাপিছে পবনভরে, মৃণাল উপরে মৃণালিনী। ছে। এখন রূপক রাখ, আমার কথার উত্তর দাও—কোথায় মৃণালিনী ? গি। এই নগরে। হেমচন্দ্র রুষ্টভাবে কহিলেন, “তা ত আমি অনেক দিন জানি। এ নগরে কোন স্থানে ?” গি। হৃষীকেশ শৰ্ম্মার বাড়ী। হে । কি পাপ । সে কথা আমিই তোমাকে বলিয়া দিয়াছিলাম। এত দিন ত তাহার সন্ধান করিতে পার নাই, এখন কি সন্ধান করিয়াছ ? গি। সন্ধান করিয়াছি। . হেমচন্দ্র দুই বিন্দু-স্থই বিন্দু মাত্র অশ্রমোচন করিলেন। পুনরপি কহিলেন, “সে এখান হইতে কত দূর? গি। অনেক দূর। হে। এখান হইতে কোন দিকে যাইতে হয় ? গি। এখান হইতে দক্ষিণ, তার পর পূর্ব তার পর উত্তর, তার পর পশ্চিম— হেমচন্দ্র হস্ত মুষ্টিবদ্ধ করিলেন। কহিলেন, “এ সময়ে তামাসা রাখ—নহিলে মাথ৷ ভাঙ্গিয়া ফেলিব।” । গি। শাস্তু হউন। পথ বলিয়া দিলে কি আপনি চিনিতে পরিবেন ? যদি ত৷ না পারিবেন, তবে জিজ্ঞাসার প্রয়োজন ? আজ্ঞা করিলে আমি সঙ্গে করিয়া লইয়া যাইব । - 顧 * মেঘমুক্ত সূর্য্যের স্থায় হেমচন্দ্রের মুখ প্রফুল্প হইল। তিনি কহিলেন, “তোমার সৰ্ব্বকামনা সিদ্ধ হউক—মৃণালিনী কি বলিল ?” 被 গি । তা ত বলিয়াছি।– - “ডুবিয়া অতল জলে মৃণালিনী মরে।” হে। মৃণালিনী কেমন আছে ? * গি। দেখিলাম শরীরে কোন পীড়া নাই।