পাতা:মৃণালিনী-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

48 : शू१ाणिर्नौ ছে। কিছুই লা। বোধ হয়, রাজসন্নিধানে এ সংবাদ এ পৰ্য্যন্ত প্রচার ছয় মাই। আমি দৈবাৎ কালি এ সংবাদ প্রাপ্ত হইয়াছি। • ് " ম। এ বিষয় তুমি রাজগোচর করিয়া সৎপরামর্শ দাও নাই কেন ? হে । সংবাদপ্রাপ্তির পরেই পথিমধ্যে দস্থ কর্তৃক আহত হইয়। রাজপথে পড়িয়াছিলাম। এই মাত্র গৃহে আসিয়া কিঞ্চিং বিশ্রাম করিতেছি। বলহানিপ্রযুক্ত রাজসমক্ষে বাইতে পারি নাই। এখনই যাইতেছি । ম। তুমি এখন বিগ্রাম কর। আমি রাজার নিকট যাইতেছি। পশ্চাৎ ষেরূপ হয় তোমাকে জানাইব। এই বলিয়া মাধবাচাৰ্য্য গাত্ৰোখান করিলেন । তখন হেমচন্দ্র বলিলেন, “প্ৰভু! আপনি গৌড় পৰ্য্যস্ত গমন করিয়াছিলেন শুনিলাম—” মাধবাচাৰ্য্য অভিপ্রায় বুৰিয়া কছিলেন, “গিয়াছিলাম। তুমি মৃণালিনীর সংবাদ কামনা করিয়া জিজ্ঞাসা করিতেছ? মৃণালিনী তথায় নাই।” হে। কোথায় গিয়াছে ? * মা। তাহা আমি অবগত নহি, কেহ সংবাদ দিতে পারিল না। J হে। কেন গিয়াছে ? “. মা । বৎস! সে সকল পরিচয় যুদ্ধান্তে দিব । হেমচন্দ্র ভ্ৰকুটি করিয়া কহিলেন, “স্বরূপ বৃত্তান্ত আমাকে জানাইলে, আমি যে মৰ্ম্মপীড়ায় কাতর হইব, সে আশঙ্কা করিবেন না। আমিও কিয়দংশ প্রবণ করিয়াছি। যাহা অবগত অাছেন, তাহ নিঃসঙ্কোচে আমার নিকট প্রকাশ করুন।” --- মাধবাচাৰ্য্য গৌড়নগরে গমন করিলে হৃষীকেশ তাহাকে আপন জ্ঞানমত মৃণালিনীর বৃত্তান্ত জ্ঞাত করিয়াছিলেন। তাছাই প্রকৃত বৃত্তান্তু বলিয়া মাধবাচার্য্যেরও বোধ হইয়াছিল ; মাধবাচাৰ্য্য কস্মিন কালে স্ত্রীজাতির অনুরাগী নহেন—সুতরাং স্ত্রীচরিত্র বুঝিতেন না। এক্ষণে হেমচক্সের কথা শুনিয়া তাহার বোধ হইল যে, হেমচন্দ্র সেই বৃত্তান্তই কতক কতক প্রবণ করিয়া মৃণালিনীর কামনা পরিত্যাগ করিয়াছেন—অতএব কোন নূতন মনঃপীড়ার সম্ভাবনা নাই বুৰিয়া, পুনৰ্ব্বার আসনগ্রহণপূর্বক হৃষীকেশের কথিত বিবরণ হেমচন্ত্রকে শুনাইতে লাগিলেম । . - , , হেমচন্দ্র অধোমুখে করতলোপরি ভ্ৰকুটকুটিল ললাট সংস্থাপিত করিয়া নিঃশব্দে সমুদয় বৃত্তান্ত শ্রবণ করিলেন। মাধবাচার্ধ্যের কথা সমাপ্ত হইলেও বাঙুৰিম্পত্তি করিলেন

- - z * * ** - * * * ... . . . . . ; ; ; ; ; ; ;-്:: 'r: