দেখিয়া যুবা ভ্রূকুটী করিলেন এবং কুতবকে কহিলেন, “আপনকার কি আজ্ঞা?”
শুনিয়া কুতব হাসিলেন। বলিলেন, “তুমি কি শরত্যাগে আমার হস্তী বধ করিয়াছ?”
যুবা। “করিয়াছি।”
কু। “কেন তুমি আমার হাতী মারিলে?”
যুবা। “না মারিলে হাতী আপনার সেনাপতিকে মারিত।”
ইহা শুনিয়া বখ্তিয়ার খিলিজি বলিলেন, “হাতী আমার কি করিত?”
যুবা। “চরণে দলিত করিত।”
বখ্তিয়ার। “আমার কুঠার কি জন্য ছিল?”
যুবা। “হস্তীকে পিপীলিকা দংশনের ক্লেশানুভব করাইবার জন্য।”
কুতব উদ্দীনের ওষ্ঠাধরপ্রান্তে অল্পমাত্র হাস্য প্রকটিত হইল। সেনাপতি অপ্রতিভ হয়েন দেখিয়া কুতবউদ্দীন তখন কহিলেন,
“তুমি হিন্দু, মুসলমানের বল জান না। সেনাপতি, অনায়াসে কুঠারাঘাতে হস্তিবধ করিত। তথাপি তুমি যে সেনাপতির মঙ্গলাকাঙ্ক্ষায় তীরত্যাগ করিয়াছিলে—ইহাতে তোমার প্রতি সন্তুষ্ট হইলাম। তোমাকে পুরস্কৃত করিব।” এই বলিয়া কুতবউদ্দীন কোষাধ্যক্ষের প্রতি যুবাকে শত মুদ্রা দিতে অনুমতি করিলেন।
যুবা শুনিয়া কহিলেন, “যবন রাজপ্রতিনিধি! শুনিয়া লজ্জিত হইলাম। যবন সেনাপতির জীবনের মূল্য কি শত মুদ্রা?”
কুতবউদ্দীন কহিলেন, “তুমি রক্ষা না করিলে যে সেনাপতির জীবন বিনষ্ট হইত, এমত নহে। তথাপি সেনাপতির