মা। “গণিয়া দেখিলাম যে যবন সাম্রাজ্য ধ্বংস বঙ্গরাজ্য হইতে আরম্ভ হইবে।”
হে। “তাহা হইতে পারে। কিন্তু কত কালেই বা তাহা হইবে? আর কাহা কর্ত্তৃক?”
মা। “তাহাও গণিয়া স্থির করিয়াছি। যখন পশ্চিম দেশীয় বণিক বঙ্গরাজ্যে অস্ত্র ধারণ করিবে তখন যবনরাজ্য উৎসন্ন হইবেক।”
হে। “তবে আমার জয়লাভের কোথা সম্ভাবনা? আমি ত বণিক্ নহি।”
মা। “তুমিই বণিক্। মথুরায় যখন তুমি মৃণালিনীর প্রয়াসে দীর্ঘকাল বাস করিয়াছিলে তখন তুমি কি ছলনা করিয়া তথায় বাস করিতে”
হে। “আমি তখন বণিক্ বলিয়া মথুরায় পরিচিত ছিলাম বটে।”
মা। “সুতরাং তুমিই পশ্চিমদেশীয় বণিক্। বঙ্গরাজ্যে গিয়া তুমি অস্ত্র ধারণ করিলেই যবন নিপাত হইবে। তুমি আমার নিকট প্রতিশ্রুত হও, যে কল্য প্রাতেই বঙ্গে যাত্রা করিবে। যে পর্য্যন্ত তথায় না যবনের সহিত যুদ্ধ কর, সে পর্য্যন্ত মৃণালিনীর সহিত সাক্ষাৎ করিবে না।”
হেমচন্দ্র দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিলেন, “তাহাই স্বীকার করিলাম। কিন্তু একা যুদ্ধ করিয়া কি করিব?”
মা। “বঙ্গেশ্বরের সেনা আছে।”
হে। “থাকিতে পারে—সে বিষয়েও কতক সন্দেহ; কিন্তু যদি থাকে তবে তাহারা আমার অধীন হইবে কেন?”
মা। “তুমি অগ্রগামী হও। নবদ্বীপে আমার সহিত সা-