মণিমালিনী তদ্রূপ করিলেন।
তখন মৃণালিনী মণিমালিনীর কাণে যাহা কহিলেন, তাহার এক্ষণে বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন নাই। শ্রবণে মণিমালিনী পরম প্রীতি প্রকাশ করিলেন। গোপন কথা সমাপ্ত হইল।
মণিমালিনী কহিলেন, “তাহার পর, মাধবাচার্য্যের সঙ্গে তুমি কি প্রকারে আসিলে? সে বৃত্তান্ত বলিতেছিলে, বল।”
মৃণালিনী কহিলেন যে “আমি পূর্ব্বরীত্যনুসারে হেমচন্দ্রের অঙ্গুরীয় দেখিয়া সাক্ষাৎ প্রত্যাশায় ঐ উদ্যান মধ্যে প্রবেশ করিলে দূতী কহিল যে রাজপুত্র পুলিনলগ্ন নৌকায় অধিষ্ঠান করিতেছেন। আমি অনেক দিন রাজপুত্রকে দেখি নাই। ব্যগ্রতাবশতঃ বিবেচনাশূন্য হইলাম। পুলিনে আসিয়া দেখিলাম যে যথার্থই একখানি তরণী সৈকতে লগ্ন হইয়া রহিয়াছে। তাহার বহির্ভাগে এক জন পুরুষ দাঁড়াইয়া রহিয়াছে, মনে করিলাম যে রাজপুত্রই দাঁড়াইয়া রহিয়াছেন। আমি তরণীর নিকট আসিলাম। নৌকার উপর যিনি দাড়াইয়াছিলেন তিনি আমার হস্তে ধরিয়া নৌকায় উঠাইলেন। অমনি নাবিকেরা নৌকা খুলিয়া দিল। কিন্তু আমি করস্পর্শেই বুঝিয়াছিলাম যে এ ব্যক্তি হেমচন্দ্র নহে।”
মণি। “আর অমনি তুমি চীৎকার করিলে?”
মৃ। “চীৎকার করি নাই। একবার ইচ্ছা হইয়াছিল বটে কিন্তু চীৎকার আসিল না।”
মণি। “আমি হইলে জলে ঝাঁপ দিতাম।”
মৃ। “হেমচন্দ্রকে না দেখিয়া কেন মরিব?”
মণি। “তার পর কি হইল?”
মৃ। “প্রথমেই নৌকারোহী আমাকে মাতৃসম্বোধন করিয়া আমার প্রধান ভয় দূর করিলেন; কহিলেন, “মাতঃ আমি আপ
গ