গিরি। “এই নগরেই থাকি।”
মৃ। “তুমি কি গীত গাইয়া দিন যাপন কর?”
গিরি। “আর কি করিব?”
মৃ। “তুমি গীত সকল কোথা হইতে সংগ্রহ করিয়াছ?”
গি। “যেখানে যা পাই তাহা শিখি।”
মৃ। “এ গীতটী কোথা শিখিলে?”
গি। “একটী বণিক আমাকে শিখাইয়াছে।”
মৃ। “সে বণিক্ কোথায় থাকে?”
গি। “এই নগরেই আছে।”
মৃণালিনীর মুখ হর্ষোৎফুল্ল হইল—প্রাতঃসূর্য্যকর স্পর্শে যেন পদ্ম ফুটিয়া উঠিল। কহিলেন,
“সে বণিক্ কিসের বাণিজ্য করে?”
গিরি। “যাহার বাণিজ্য সকলে করে, সেও তাহার বাণিজ্য করে।”
মৃ। “সে কিসের বাণিজ্য?”
গি। “কথার বাণিজ্য।”
মৃ। “এ নূতন বাণিজ্য বটে। তাহাতে লাভালাভ কিরূপ?”
গি। “ইহাতে লাভের অংশ প্রীতি, অলাভ কলহ।”
মৃ। “তুমিও ব্যবসায়ী বটে। ইহার মহাজন কে?”
গি। “যে মহাজন।”
মৃ। “তুমি ইহার কি?”
গি। “নগ্দা মুটে।”
মৃ। “ভাল—তোমার বোঝা নামাও। সামগ্রী কি আছে দেখি।”
গি। “এ সামগ্রী দেখে না; শুনে।”