সময়ে পশ্চাৎ হইতে কেহ তাঁহার উত্তরীয় ধরিয়া টানিল। হেমচন্দ্র ফিরিয়া দেখিলেন। দেখিয়া প্রথম মূহুর্তে তাঁহার বােধ হইল সম্মুখে একখানি কুসুমনির্ম্মিতা দেবী প্রতিমা। দ্বিতীয় মূহুর্তে দেখিলেন প্রতিমা সজীব; তৃতীয় মূহুর্তে দেখিলেন, প্রতিমা নহে বিধাতার নির্ম্মাণকৌশল-সীমা-রূপিণী বালিকা অথবা পূর্ণযৌবন তরুণী।
বালিকা না তরুণী? ইহা হেমচন্দ্র তাহাকে দেখিয়া নিশ্চিত করিতে পারিলেন না।
বীণানিন্দিতস্বরে সুন্দরী কহিলেন, “তুমি পিতামহকে কি বলিতেছিলা? তােমার কথা উনি শুনিতে পাইবেন কেন?”
হেমচন্দ্র কহিলেন, “তাহা ত পাইলেন না দেখিলাম। তুমি কে?”
বালিকা কহিল, “আমি মনােরম।”
হে। “ইনি তােমার পিতামহ?”
মনো। “তুমি পিতামহকে কি বলিতেছিল?”
হে। “শুনিলাম ইনি এ গৃহ ত্যাগ করিয়া যাইবার উদ্যোগ করিতেছেন। আমি তাহা নিবারণ করিতে আসিয়াছি।”
ম। “এ গৃহে এক রাজপুত্ত্র আসিয়াছেন তিনি আমাদিগকে থাকিতে দিবেন কেন?”
হে। “আমিই সেই রাজপুত্ত্র। আমি তােমাদিগকে অনুরোধ করিতেছি তােমরা এখানে থাক।”
ম। “কেন?”
এ কেনর উত্তর নাই? হেমচন্দ্র অন্য উত্তর না পাইয়া কহিলেন, “কেন? মনে কর যদি তােমার সহােদর আসিয়া এই গৃহে বাস করিত সে কি তােমাদিগকে তাড়াইয়া দিত?”
ম। “তুমি কি আমার ভাই?”