হেম। “তোমার কি বোধ হয় মনোরমে?”
মনো। “মানুষ মারিবার অস্ত্র লইয়া কেহ বিবাহ করিতে যায় না। তুমি যুদ্ধে যাইতেছ?”
হেম। “কাহার সঙ্গে যুদ্ধ করিব? তুমিই বা এখানে কি করিতেছিলে?”
মনো। “স্নান করিতেছিলাম। স্নান করিয়া বাতাসে চুল শুকাইতেছিলাম। এই দেখ চুল এখনও ভিজিয়া রহিয়াছে।” এই বলিয়া মনোরমা আর্দ্র কেশ হেমচন্দ্রের হস্তে স্পর্শ করাইলেন।
হেম। “এত রাত্রে স্নান কেন?”
মনো। “আমার গা জ্বালা করে।”
হে। “গঙ্গাস্নান না করিয়া এখানে কেন?”
মনো। “এখানকার জল বড় শীতল।”
হে। “তুমি সর্ব্বদা এখানে আইস?”
মনো। “আসি।”
হে। “আমি তোমার সম্বন্ধ করিতেছি―তোমার বিবাহ হইবে। বিবাহ হইলে এরূপ কি প্রকারে আসিবে?”
মনো। “আগে বিবাহ হউক।”
হে। হাসিয়া কহিলেন, “তোমার লজ্জা নাই―তুমি কালামুখী।”
মনো। “তিরস্কার কর কেন? তুমি যে বলিয়াছিলে তিরস্কার করিবে না।”
হে। “সে অপরাধ লইও না। এখান দিয়া কাহাকে যাইতে দেখিয়াছ?”
ম। “দেখিয়াছি।”
হে। “তাহার কি বেশ?”