শা। “তিনি অলক্ষিত হইয়া আসিতে পারেন নাই। তাঁহার আগমন কেহ কেহ জানিতে পারিয়াছে।”
পশুপতি অত্যন্ত শঙ্কান্বিত হইয়া কহিলেন, “কিসে জানিলে?”
শান্তশীল কহিলেন, “আমি শ্রীচরণ দর্শনে আসিবার সময় দেখিলাম যে বৃক্ষতলে এক ব্যক্তি লুক্কায়িত হইল। তাহার যােদ্ধৃবেশ। তাহার সহিত কথােপকথনে বুঝিলাম যে সে মহম্মদ আলির গৃহপ্রবেশ দৃষ্টি করিয়া তাহার জন্য প্রতীক্ষা করিতেছে, অন্ধকারে তাহাকে চিনিতে পারিলাম না।”
প। “তার পর।”
শা। “তার পর দাস তাহাকে চিত্রগৃহে কারারুদ্ধ করিয়া রাখিয়া আসিয়াছে।”
পশুপতি চৌরােদ্ধরণিককে সাধুবাদ করিতে লাগিলেন। এবং কহিলেন, যে “কল্য প্রাতে উঠিয়া সে ব্যক্তির প্রতিবিহিত করা যাইবেক। আজি রাত্রে সে কারারুদ্ধই থাক। এক্ষণে তােমাকে অন্য এক কার্য্য সাধন করিতে হইবে। যবনসেনাপতির ইচ্ছা অদ্য রাত্রে তিনি মগধরাজপুত্রের ছিন্ন মস্তক দর্শন করেন। তাই এখনই সংগ্রহ করিবে।”
শা। “কার্য্য নিতান্ত সহজ নহে। রাজপুত্র পিপীলিকা নহেন।”
প। “আমি তােমাকে একা যুদ্ধে যাইতে বলিতেছি না। কতকগুলি লােক লইয়া তাঁহার গৃহ আক্রমণ করিবে।”
শা। “লােকে কি বলিবে?”
প। “লােকে বলিবে দসুতে তাঁহাকে হত্যা করিয়া গিয়াছে।”
শা। “যে আজ্ঞা। আমি চলিলাম।”