দিক বেড়বার:পৰ্ব্ব এক দিকে "খানি পরলোকের গৃহ। এই পতিত ভুৰি খণ্ডের দিকে ভাষার পশ্চাৎ পশ্চাতে একটা বাতায়ন বা ক্ষুদ্র গবাক্ষ। নবকুমার ও উমাপতি সেই গৃহের সন্নিহিত ढुंभ স্থায়ার উপবেশন কধিয়া কথাবাৰ্ত্ত কহিতে লাগি লেন। নবকুমার কছিলেন,— 。 “দেখিলে ভাই! আমি অলীক আশাকে হৃদয়ে স্থান দিই নাই । আমি স্বচক্ষে দেখিয়াছিলাম বলিয়াই ও বিষয়ে এভাদৃশ দৃঢ় হইয়াছিলাম।” - ? উমা । “যাহা হুইবার নহে, তাহ ষে হুইবে, তাহা আমরা কি প্রকারে জানিব ? তুমি দেখিয়াছিলে সত্য, কিন্তু সে কথা আমরা সম্পূর্ণ বিশ্বাস করিতে পারি নাই। ভাবিয়ছিলাম সেটা ড়োমার মনের ভ্রান্তি । ঈশ্বরেচ্ছায় ডাহা এক্ষণে সত্যে পরিণত হইল।” -- নব । যাহা ইউক ভাই, অবিলম্বে কপালকুণ্ডলার সাক্ষাৎ পাইব সত্য, কিন্তু আমার মন তাহাতেও শাস্ত হইতেছে না। কত প্রকার, বড় বে চিন্তা মনে উপস্থিত হইতেছে তাছা তোমাকে কি বলিব • কপালকুণ্ডলা জীবনে যত কষ্ট পাইয়াচ্ছে, সে সমস্তের মূল আমি। সে যখন শৈশবে অরণ্যে ছিল, তখন কষ্ট কাছাকে বলে জানিত না। বনে রনে আপন মনে সদানন্দে বেড়াইত। আমি তাকে বিবাছ করিয়া সংসারে জানিয়া কষ্টের সাগরে ভাসাইলাম। তখন ইত্তে তাঁজার কষ্টের স্বয়পাই হুইল, আর এক দিনও মুখ কাহাঁকে বলে জানিতে পারিল না। অবশেরেঃ আমার জন্য তাছার অপমৃত্যু পৰ্যন্ত ঘটিয়াছিল, তবে সে নাকি নিতান্ত ভৱানীপারণ, এজন্ত ভবানী জম্বুগ্ৰছ করি আহাঙ্গে, পুনর্জীবন দান করিয়াছে সন্দেহ নাই। ছবিতেছি কি হয় ও
পাতা:মৃণ্ময়ী (কপালকুণ্ডলা দ্বিতীয় ভাগ).djvu/২৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।