পাতা:মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৃতের কথোপকথন

সম্মুখে, সকলের প্রাণের কথা মন্ত্রের মত উচ্চারণ করেছে—দেশের কর্ত্তা কোন ব্যক্তি নয়, কোন শ্রেণী নয়, দেশের কর্ত্তা দেশ নিজে। এই মুখের এক ফুৎকারে সব সম্মোহন উড়ে গিয়েছে—শতাব্দির পর শতাব্দি ধ’রে যে পাষাণের চাপ দেশের বুকের উপর ক্রমাগতই স্তূপীকৃত হ’য়ে চলেছিল, এই মাথার কেশরের এক দোলনে সব ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছে, এই গলার এক হাঁকে কোথা হ’তে মুক্তির প্লাবন ছুটে বেরিয়েছে।

দান্তন

 সে প্লাবন বিপুল মূর্ত্তিমান করে তুলেছে এই দাস্তন। দেশকে সাহস তুমি দিয়েছ, মিরাবো, কিন্তু আমি দিয়েছি দুঃসাহস। জিনিষ সুরু করা খুব কঠিন নয়, কিন্তু কঠিন হচ্ছে তাকে বাড়িয়ে চালিয়ে নেওয়া। পাহাড়ের শিখর থেকে একটা

৩০