পাতা:মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৃতের কথোপকথন

অশোক

 কিন্তু দৈহিক বল, রাষ্ট্রনৈতিক বলই যে শক্তির গোড়া তা আমি মানিনে। গোড়ায় চাই অন্তরাত্মার বল। এই বল যার আছে, তার প্রাণে দেহে দেখা দেয় নূতন এক শক্তি। ধর্ম্ম-বলই যে দেহে প্রাণে কি সামর্থ্য এনে দেয় তার প্রমাণ কি তুমি দেখ‍্ছ না? সমস্ত বৌদ্ধ যুগটা তোমার সম্মুখে। এই যুগে জ্ঞানে, কর্ম্মে, শিল্পে, বাণিজ্যে ভারত যে কত বড় জীবন্ত হয়ে উঠেছিল, তার চিহ্ন ত এখনও অটুট হয়ে বর্ত্তমান, সেই যুগের শিক্ষা দীক্ষা আধুনিক মানুষকে কতখানি অনুপ্রাণিত করেছে, তার প্রমাণ ত দুর্ল্লভ নয়। তবে ইদানীন্তনকালে ভারতের যে পরাধীনতা, যে বিচ্ছিন্নতা, যে দৈন্যদারিদ্রা তার কারণ অন্যত্র খুঁজ‍্তে হ’বে। আমি বলি, ধর্ম্মকে সত্যের পথ হারিয়েই এমন হয়েছে।

৭৮