পাতা:মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৃতের কথোপকথন

জের তখনও ছিল— যতদিন ছিল ততদিন ভারত সৃষ্টি করেছে। তবে তোমার ধর্ম্ম একটা নূতন ভাবতরঙ্গ এনে দিয়েছিল, কতকগুলি নূতন বিষয় চোখের সামনে তুলে ধরেছিল, ভারতের জীবন্ত প্রাণ সেগুলিকে আশ্রয় ক’রে আত্মসাৎ ক’রে নিজেকে প্রকাশ করেছে মাত্র। তার আরও প্রমাণ, এই প্রাণ যতদিন ভারতের ছিল ততদিন সৃষ্টি হয়েছে, তারপর তোমার ধর্ম্ম যখন অতিমাত্র সে প্রাণকে অভিভূত ক’রে ফেল্‌লে, তখন ভারতবাসী বাস্তবিকই বুঝ‍্লে সব ঝুটা, কিছুই নয়, বৈরাগ্য নির্ব্বাণই সার—কৌপীনবন্তঃ খলু ভাগ্যবন্ত—তখন সত্যসত্যই তাকে কৌপীন প’রে, দীনদরিদ্র অল্পপ্রাণ অক্ষম হ’য়ে পড়তে হ’ল। যার যেমন শ্রদ্ধা। লক্ষ্মীকে ভারতবর্ষ যেদিন থেকে তুচ্ছ তাচ্ছীল্য করেছে, সে দিন থেকে লক্ষ্মীও

৮০