পাতা:মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৃতের কথোপকথন

সুযোগ পেলে। প্রত্যন্ত দেশের রাজশক্তি—পশ্চিমে যবন দক্ষিণে চোল পাণ্ডা, পূর্ব্বে বঙ্গ আবার যুদ্ধ ঘোষণা কর‍্তে আরম্ভ কর‍্লে; তখন আর বাহুবল নাই, আছে অহিংসা, কারুণ্য, মৈত্রী, তাই উৎকোচ দিয়ে তাদের শান্ত করবার চেষ্টা করতে হ’ল। ভারতের বিপুল দুর্ভাগ্যের আরম্ভ এই রকমে।

অশোক

 ভোগের জীবন পশুর জীবন। আমি সমাজে একটা ত্যাগের তপশ্চরণের আদর্শ প্রতিষ্ঠা ক’রে দিয়েছিলেম, তাতে যদি কারো অনর্থক অর্থ-লাভের উপায় বন্ধ হয়ে গিয়ে থাকে, তাতে আমি দুঃখিত নই। ঐশ্বর্য্যের উপর আকর্ষণ পারত্রিক মঙ্গলের অন্তরায়। ভারত যে ভোগভূমি নয়, ভারতের আছে একটী ত্যাগী তপস্বী আত্মসম্বুদ্ধ অন্তরাত্মা,

৮৪