পাতা:মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মৃতের কথোপকথন

কামে ও অর্থে পরিতৃপ্ত না হ’য়ে মানুষ তার জীবনে ফুটিয়ে তুল‍্তে চায় অন্তরাত্মার—ধর্ম্মের, মোক্ষের ব্যঞ্জনা।

চন্দ্রগুপ্ত

 অন্তরাত্মা, ধর্ম্ম, মোক্ষ— এ সব নাম মাত্র—এ সবের অর্থ কি? এ সবের মধ্যে প্রাণের খেলার স্থান নাই? চরম লক্ষ্য যদি মোক্ষই— নির্ব্বাণই হয়, তবুও ধর্ম্ম বল্‌তে সন্ন্যাস বৈরাগ্য বা তোমার অষ্টাঙ্গ সাধনাটুকুই কেবল বুঝায় না। ধর্ম্ম অত সহজ বস্তু নয়। ধর্ম্মের ধারা বহুল জটিল। অন্তরাত্মার প্রকাশ নানাভঙ্গিমা সমাজের এক একটি অঙ্গ এক একটি ধারাকে আশ্রয় ক’রে চলেছে, আর সকলে মিলেই ফুটিয়ে তুলেছে একটা পূর্ণ সার্ব্বাঙ্গীন ধর্ম্মের আদর্শ। তুমিই ত স্বীকার করেছ, ধর্ম্মের সাধনা নানা জনের পক্ষে নানা রকম। ব্রাহ্মণের

৮৭