সমগ্র ভারতবর্ষ অতি বিপুলায়তন; এজন্য আমরা শুনিতে পাই, এদেশে বহুসংখ্যক বিভিন্ন জাতি বাস করে। ইহাদিগের মধ্যে কোন জাতিই বিদেশ হইতে আগমন করে নাই, সমুদায় জাতিই প্রথমাবধি এদেশে বাস করিতেছে, ভারতবর্ষই তাহাদিগের উৎপত্তিস্থান। ভারতবর্ষীয়েরা কখনও বিদেশ হইতে আপনাদিগের মধ্যে কোনও উপনিবেশ গ্রহণ করে নাই, বা বিদেশে কোনও উপনিবেশ স্থাপন করে নাই। প্রবাদ আছে, প্রাচীনতম কালে এদেশের অধিবাসিগণ গ্রীকদিগের ন্যায় স্বচ্ছন্দ ভূমিজাত ফল দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করিত, ও বন্য পশুর চর্ম পরিধান করিত। যেমন গ্রীসে তেমনি এদেশে শিল্প ও জীবিকানির্বাহের উপযোগী অন্যান্য উপকরণ ক্রমে ক্রমে আবিষ্কৃত হইয়াছে। অভাবই মানবকে এই সকল আবিষ্কার করিতে শিক্ষা দিয়াছে; কারণ মানবের হস্ত তাহার পরম সহায়, এবং তাহার জ্ঞান ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধি আছে।
ভারতবর্ষে শ্রেষ্ঠ পণ্ডিতগণ একটি উপাখ্যান রচনা করিয়াছেন, তাহার মর্ম প্রদান করা কর্তব্য। তাঁহারা বলেন, অতি প্রাচীনকালে ভারতবাসিগণ গ্রামে বাস করিত; সেই সময়ে ডায়োনীসস পশ্চিম দেশ হইতে বিপুল সেনাবল লইয়া ভারতবর্ষে উপস্থিত হন। তখন তাঁহাকে প্রতিরোধ করিতে পারে, এমন কোনও উল্লেখযোগ্য নগর বর্তমান ছিল না; এজন্য তিনি সমগ্র ভারতবর্ষ বিমর্দিত করেন। কিন্তু প্রচণ্ড গ্রীষ্ম উপস্থিত হওয়াতে সেনাদলমধ্যে মহামারী আরম্ভ হইল, এবং দলে দলে সৈন্যগণ আক্রান্ত হইতে লাগিল; এজন্য এই প্রতিভাসম্পন্ন সেনানায়ক সমতল ভূমি ত্যাগ করিয়া পর্বতোপরি শিবির স্থাপন করিলেন। তথায় সৈন্যগণ শীতল বায়ু সেবন করিয়া ও নির্ঝরিণী নিঃসৃত স্রোতস্বিনীর নির্মল জল পান করিয়া শীঘ্রই রোগমুক্ত হইল। পর্বতের যে ভাগে ডায়োনীসস সৈন্যগণের আরোগ্য সম্পাদন করেন তাহা মীরস (মেরু) নামে অভিহিত