হইয়াছে। ইহা নিঃসন্দেহ যে এইজন্যই গ্রীকদিগের মধ্যে বংশপরম্পরাক্রমে প্রবাদ চলিয়া আসিতেছে যে দেব ডায়োনীসস জানু (মীরস) হইতে উদ্ভূত হইয়াছিলেন। অতঃপর তিনি বৃক্ষলতা রোপণে মনোনিবেশ করেন এবং ভারতবাসীদিগকে মদ্য ও জীবনের পক্ষে প্রয়োজনীয় অন্যান্য বস্তু প্রস্তুত করিবার সংকেত শিক্ষা দেন। তিনি গ্রামসমূহ সুগম স্থানে স্থানান্তরিত করিয়া বৃহৎ বৃহৎ নগর স্থাপন করেন। জনসাধারণকে দেবপূজা শিক্ষা দেন; এবং শাসনতন্ত্র ও বিচারালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এইরূপে বহু শুভ কার্য্যের অনুষ্ঠাননিবন্ধন তিনি দেবতা বলিয়া গৃহীত হন এবং অমরোচিত সম্মান লাভ করেন। তাঁহার সম্বন্ধে আরও জনশ্রুতি আছে যে, তিনি যুদ্ধযাত্রাকালে বহুসংখ্যক স্ত্রীলোক সঙ্গে লইয়া যাইতেন এবং দুন্দুভি ও করতাল-ধ্বনির সহিত সৈন্যদিগকে রণসজ্জায় সজ্জিত করিতেন; কারণ তখনও শিঙ্গা আবিষ্কৃত হয় নাই। তিনি সমগ্র ভারতবর্ষে বায়ান্ন বৎসর রাজত্ব করিয়া বার্ধক্যবশত পরলোকগমন করেন। তাঁহার পর তদীয় পুত্রগণ রাজ্যলাভ করেন, এবং যুগযুগান্তরের জন্য সন্তান-সন্ততিগণকে উহা প্রদান করিয়া যান। অবশেষে, বহু বংশের আবির্ভাব ও তিরোভাবের পরে ইহাদিগের হস্ত হইতে রাজদণ্ড স্খলিত হয় ও এই রাজ্যে সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
ভারতবর্ষে যাহারা পার্বত্যপ্রদেশে বাস করে তাহাদিগের মধ্যে ডায়োনীসস ও তাঁহার সন্তান-সন্ততিগণ সম্বন্ধে উক্তরূপ প্রবাদ প্রচলিত আছে। তাহারা আরও বলে যে হীরাক্লীস (বা হার্ক্যুলীস) ভারতবর্ষে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রীসে যেমন হীরাক্লীসের হস্তে গদা ও পরিধানে সিংহচর্ম্ম দেখিতে পাওয়া যায়, ভারতবর্ষেও সেইরূপ পরিলক্ষিত হয়। তিনি দৈহিক বল ও বীরত্বে সমুদায় মানবকে অতিক্রম করিয়াছিলেন এবং তাঁহার কৃপায় জল ও স্থল হিংস্র জন্তু হইতে সম্পূর্ণরূপে নির্মুক্ত হইয়াছিল। তিনি বহু রমণীর পাণিগ্রহণ করিয়া অনেক পুত্র লাভ করেন,