প্রয়োজনীয় অধিবাসিগণ সে সমুদায়ই প্রচুর পরিমাণে প্রাপ্ত হয়। কৃষকগণ স্ত্রী পুত্র লইয়া গ্রামে বাস করে, কখনও নগরে গমন করে না। তাহারা রাজাকে কর প্রদান করে, কারণ সমগ্র ভারতভূমি রাজার সম্পত্তি, প্রজাসাধারণের ভূমিতে কোনও স্বত্ব নাই। কর ভিন্ন তাহারা উৎপন্ন দ্রব্যের এক চতুর্থাংশ রাজকোষে প্রদান করে ।
তৃতীয় জাতি গোপাল ও মেষপাল, এবং মোটামুটি সেই রাখাল জাতি, যাহারা কখনও গ্রামে বা নগরে বাস করে না, কিন্তু সমস্ত জীবন শিবিরে যাপন করে। ইহারা পশু-পক্ষী শিকার ও জীবিতাবস্থায় ধৃত করিয়া দেশকে আপন্মুক্ত রাখে। ভারতবর্ষ সর্ব্বপ্রকার বন্য পশু পক্ষীতে পরিপূর্ণ। পক্ষী সকল কৃষকগণের বীজ উদরসাৎ করে। ব্যাধগণ অশেষ শ্রমসহকারে শিকারে নিযুক্ত থাকিয়া ভারতবর্ষকে এই সকল আপদ হইতে রক্ষা করে।
শিল্পিগণ চতুর্থ জাতি। ইহাদিগের মধ্যে কেহ কেহ অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণ করে, কেহ কেহ কৃষকগণ ও অপরের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাদি নির্মাণে নিযুক্ত থাকে। ইহারা তো কোনও প্রকার কর প্রদান করেই না; অধিকন্তু রাজকোষ হইতে ভরণ পোষণের ব্যয় প্রাপ্ত হয়।
পঞ্চম জাতি যোদ্ধাগণ। ইঁহারা সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করিয়াছেন। এই জাতি যুদ্ধার্থ সুশিক্ষিত ও সুসজ্জিত, কিন্তু ইঁহারা শাস্তির সময় কেবল আলস্যে ও আমোদ-প্রমোদে কাল হরণ করেন। সৈন্য, যুদ্ধাশ্ব ও যুদ্ধের হস্তী—এ সমুদায়েরই ব্যয় রাজকোষ হইতে প্রদত্ত হয়।
ষষ্ঠ জাতি অমাত্য বা মহামাত্র। ইঁহাদিগকে দেশের সমুদায় বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পর্যবেক্ষণ করিয়া রাজার নিকটে, এবং যে রাজ্যের রাজা নাই সেখানে শাসনকর্তাদিগকে তাহার বিবরণ প্রদান করিতে হয়।
সপ্তম জাতি মন্ত্রী। ইহারা মন্ত্রণা-সভায় মিলিত হইয়া রাজ্য সম্বন্ধে