মন্ত্রণা করিয়া থাকেন। ইঁহারা সংখ্যায় অপর সমুদায় জাতি অপেক্ষা ন্যূন; কিন্তু বংশমর্যাদা ও জ্ঞানে সর্বাপেক্ষা সম্মানার্হ। কারণ ইঁহাদিগের মধ্য হইতেই রাজমন্ত্রী, কোষাধ্যক্ষ ও বিবাদ মীমাংসার জন্য বিচারক নিযুক্ত হন, এবং সাধারণত সেনাপতি ও শাসনকর্তৃগণও এই জাতিভুক্ত।
মোটামুটি ভারতীয় রাজ্যের অধিবাসিগণ এই সাত জাতিতে বিভক্ত। এক জাতির লোক অপর জাতিতে বিবাহ করিতে পারে না কিংবা অপর জাতির শিল্প-ব্যবসায় অবলম্বন করিতে পারে না। যেমন, যোদ্ধা কৃষিকার্য করিতে পারে না; অথবা শিল্পী ব্রাহ্মণের ন্যায় জ্ঞানচর্চা করিতে পারে না।
ভারতবর্ষে অগণ্য প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড হস্তী আছে — তাহারা আকার ও বলে সুবিখ্যাত। ইহারা ঘোটক ও অন্যান্য চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় সন্তান উৎপাদন করে—এ বিষয়ে যে বিশেষত্ব আছে বলিয়া শুনা যায় তাহা ঠিক নহে। হস্তিনী ন্যূনকল্পে ষোড়শ ও খুব অধিক হইলে অষ্টাদশ মাস গর্ভ ধারণ করে। ঘোটকীর ন্যায় হস্তিনীও সাধারণত একটি সন্তান প্রসব করে ও তাহাকে ছয় বৎসর স্তন্যদান করে। অধিকাংশ হস্তী অতি দীর্ঘায়ু মনুষ্যের ন্যায় সুদীর্ঘকাল জীবিত থাকে। কিন্তু যাহাদের পরমায়ু অত্যন্ত অধিক তাহারা দুই শত বৎসর বাঁচে।
ভারতবাসীরা বিদেশাগত ব্যক্তিদিগের জন্য কর্মচারী নিয়োগ করিয়া থাকেন। তাঁহারা তাহাদিগের তত্ত্বাবধান করেন ও সর্বদা দৃষ্টি রাখেন, যাহাতে তাহাদিগের প্রতি কোনও অত্যাচার না হয়। কোনও বৈদেশিক লোক পীড়িত হইলে তাঁহারা তাহার জন্য চিকিৎসক প্রেরণ করেন ও অন্যান্য প্রকারে তাহার যত্ন করিয়া থাকেন; এবং সে পরলোকগমন করিলে তাহার মৃতদেহ ভূগর্ভে প্রোথিত করিয়া তাহার পরিত্যক্ত সম্পত্তি তাহার আত্মীয়গণের নিকট পাঠাইয়া দেন। যে সকল বিবাদে