কিন্তু অন্যত্র অন্য প্রকারও দেখা যায়। তাহাদিগের লাঙ্গুল দুই হস্তের অধিক দীর্ঘ। তাহারা হিংস্র নহে, এবং অতি সহজেই পোষ মানে; সুতরাং তাহারা কাহাকেও আক্রমণ করে না বা চুরি করে না। এদেশে খনি হইতে এক প্রকার প্রস্তর উত্তোলিত হয়, তাহার রং ধুনার মত, এবং তাহা ফিগ্ নামক ফল ও মধু অপেক্ষাও মিষ্ট। কোন কোন স্থানে দুই হস্ত দীর্ঘ সর্প দৃষ্ট হয়, তাহাদিগের বাদুড়ের মত পাতলা চামড়ার পাখা আছে। ইহারা রাত্রিকালে উড়িয়া বেড়ায়, তখন ইহারা বিন্দু বিন্দু মূত্র নিঃসরণ করে, উহা কোনও অসতর্ক ব্যক্তির গাত্রে পতিত হইলে দুর্গন্ধ ক্ষত উৎপন্ন হয়। এদেশে অত্যন্ত বৃহং পক্ষযুক্ত বৃশ্চিকও আছে। এখানে আবলুস বৃক্ষ জন্মে। ভারতে অতিশয় বলবান্ ও সাহসী কুকুর আছে—উহারা কাহাকেও কামড়াইয়া ধরিলে যতক্ষণ না নাসারন্ধ্রে জল ঢালিয়া দেওয়া যায় ততক্ষণ কিছুতেই ছাড়ে না। ইহারা এমন ব্যগ্রভাবে কামড়াইয়া ধরে যে কাহারও চক্ষু বিকৃত হইয়া যায়, কাহারও বা চক্ষু ফাটিয়া বাহির হইয়া পড়ে। একটা কুকুর একটি সিংহ ও একটি বৃষকে দৃঢ়ভাবে ধরিয়া রাখিয়াছিল। বৃষটিকে মুখে ধরিয়াছিল এবং কুকুরটিকে ছাড়াইয়া দিবার পূর্বেই উহা পঞ্চপ্ত প্রাপ্ত হইয়াছিল।
এলিয়ান
কতিপয় ভারতীয় বন্য জন্তু
শুনা যায়, ভারতবর্ষের কোন কোন প্রদেশে (আমি অভ্যন্তরস্থিত প্রদেশসমূহের কথা বলিতেছি) দুরারোহ ও বন্যজন্তুসমাকীর্ণ শৈলমালা আছে। উহাতে আমাদের দেশে যে সকল জন্তু দৃষ্ট হয় তাহাও আছে, কিন্তু তাহারা বন্য। কারণ আমরা শুনিতে পাই, তথায়