হইলে পুং-কর্তাজোন পুনরায় হিংস্রস্বভাব হয় ও নির্জনতা অন্বেষণ করে। শুনা যায়, ইহাদিগের শাবকগুলি অতি শৈশবে প্রাচ্যগণের রাজার নিকট আনীত হয় ও আড়ম্বরপূর্ণ মহোৎসবে পরস্পরের সহিত যুদ্ধে নিয়োজিত হয়। প্রাপ্তবয়স্ক জন্তু কখনও ধৃত হইয়াছে বলিয়া কাহারও স্মরণ হয় না।
শুনা যায়, ভারতবর্ষের অভ্যন্তরস্থিত প্রদেশের সীমাস্থিত পর্বত উত্তীর্ণ হইলে বনাকীর্ণ খাত দৃষ্ট হয়; ভারতবাসীরা ঐ অঞ্চলকে করূদ (Korouda) বলে। এই খাতগুলিতে সাটীরের ন্যায় আকারবিশিষ্ট একপ্রকার জন্তু বাস করে। ইহাদিগের দেহ কর্কশ রোমাবৃত, এবং কটিদেশ হইতে ঘোটকের মত লাঙ্গুল বাহির হইয়াছে। উত্যক্ত না হইলে ইহারা গুল্মবনে বাস করে ও বন্য ফল আহার করিয়া প্রাণধারণ করে; কিন্তু শিকারীর হুংকার ও কুকুরের চীৎকার শুনিবামাত্রই ইহারা অসম্ভব দ্রুতগতিতে উচ্চস্থানে আরোহণ করে, কারণ ইহারা পর্বতারোহণে অভ্যস্ত। ইহারা প্রস্তর গড়াইয়া আক্রমণকারীর সহিত প্রাণপণে যুদ্ধ করে এবং বহু জনকে প্রস্তরাঘাতে হত করে। ইহাদিগকে ধৃত করাই অত্যন্ত কঠিন। শুনা যায় যে, দীর্ঘকাল ব্যবধানে বহু কষ্টে ধৃত হইয়া কয়েকটি জন্তু প্রাচ্যগণের নিকট আনীত হইয়াছিল; কিন্তু এগুলি হয় পীড়িত ছিল, নতুবা গর্ভবতী স্ত্রীজাতীয় জন্তু ছিল; সুতরাৎ যেগুলি পীড়িত সেগুলিকে পীড়ানিবন্ধন ও যেগুলি গর্ভবর্তী সেগুলিকে গর্ভভারবশত ধৃত করা সম্ভব হইয়াছিল।