ষ্ট্রাবো
পাটলিপুত্র নগর
মেগাস্থেনীস বলেন, গঙ্গার বিস্তার গড়ে এক শত ষ্টাডিয়ম ও সর্বন্যূন গভীরতা এক শত ফুট।
গঙ্গা ও অপর একটি নদীর সঙ্গমস্থলে পাটলিপুত্র (Palibothra) অবস্থিত। ইহার দৈর্ঘ্য আশী ষ্টাডিয়ম ও বিস্তার পনর ষ্টাডিয়ম। ইহার আকার সমান্তরাল ক্ষেত্রের ন্যায়। ইহা চতুর্দিকে কাষ্ঠময় প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত, উহাতে তীর নিক্ষেপের জন্য রন্ধ্র আছে। ইহার সম্মুখে নগর রক্ষা ও উহার দূষিত জল গ্রহণের উদ্দেশ্যে পরিখা রহিয়াছে। যে জাতির রাজ্যে এই নগর অবস্থিত তাহা ভারতবর্ষে সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত; উহার নাম প্রাচ্য (Prasioi)। ইহার রাজাকে স্বীয় বংশের নাম ভিন্ন পাটলিপুত্র নামও গ্রহণ করিতে হয় । যেমন, চন্দ্রগুপ্তকে এই নাম গ্রহণ করিতে হইয়াছিল;—মেগাস্থেনীস ইঁহারই নিকট দূতরূপে প্রেরিত হইয়াছিলেন। [ পাথিয়ানদিগের মধ্যেও এইরূপ প্রথা আছে; কারণ সকলের নামই আর্সাকাই (Arsakai), যদিচ প্রত্যেকরই বিশেষ বিশেষ নাম আছে; যথা— অরোডীস (Orodes), ফ্রাটীস (Phraates), অথবা অপর কিছু।]
তৎপর নিম্নোদ্ধ্বত স্থল:—
[সকলেই বলেন যে হাইপানিসের পরে সমুদায় দেশ অত্যন্ত উর্বর; কিন্তু এ বিষয়ের সূক্ষ্ম রূপে অনুসন্ধান হয় নাই। অজ্ঞতা ও দূরত্ব, এই উভয় কারণ বশত এই ভূভাগ সম্বন্ধে সমস্ত বর্ণনাই অত্যুক্তিপূর্ণ, কিংবা অত্যদ্ভুত রূপে অনুরঞ্জিত। যেমন, স্বর্ণখননকারী পিপীলিকা, বিচিত্র আকারের অদ্ভুতশক্তিবিশিষ্ট মানুষ ও অন্যান্য জন্তুর উপাখ্যান। তাহার দৃষ্টাস্ত এই । শুনা যায় সীর (Seres) জাতি এমন দীর্ঘজীবী যে