পাতা:মেগাস্থেনীসের ভারত-বিবরণ - রজনীকান্ত গুহ (১৯৪৪).pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
মেগাস্থেনীসের ভারত-বিবরণ

তাহারা দুই শত বৎসরের অধিক কাল জীবিত থাকে। আরও শুনা যায় যে (এই ভূখণ্ডে) অভিজাতবর্গ দ্বারা গঠিত এক রাষ্ট্রতন্ত্র আছে, উহার পাঁচ শত সদস্য। সদস্যগণের প্রত্যেকে ঐ রাজ্যকে এক একটি হস্তী প্রদান করেন।]

 মেগাস্থেনীস বলেন যে প্রাচ্যগণের দেশেই সর্বাপেক্ষা বৃহৎ ব্যাঘ্র দৃষ্ট হয়। ইত্যাদি।


আরিয়ান

পাটলিপুত্র। ভারতবাসীর আচার-ব্যবহার

 এই প্রকারও কথিত হইয়াছে। ভারতবর্ষীয়েরা পরলোকগত ব্যক্তিদিগের উদ্দেশ্যে কোনও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে না। তাহারা মনে করে, মানুষের গুণ ও যে সকল সঙ্গীতে তাহাদিগের কীর্তি গীত হয় তাহাই মৃত জনের স্মৃতিরক্ষার পক্ষে যথেষ্ট। শুনা যায় যে ভারতবর্ষে নগরের সংখ্যা এত অধিক যে উহা নিশ্চিতরূপে গণনা করা যায় না; কিন্তু যে সকল নগর নদীতীরে কিংবা সমুদ্রের উপকূলে অবস্থিত তাহা কাষ্ঠনির্মিত, কারণ ইষ্টকনির্মিত হইলে উহা অল্পদিন স্থায়ী হয়, যেহেতু বর্ষাপাত অত্যন্ত প্রবল; এবং নদী সকলের জলরাশি দুকূল প্লাবিত করিয়া সমতল ভূমি নিমজ্জিত করে। কিন্তু যে সমুদায় নগর উচ্চ ভূমিতে ও উন্নত শৈলোপরি প্রতিষ্ঠিত তাহা ইষ্টক ও কর্দমনির্মিত। ভারতবর্ষে পাটলিপুত্র (Palibothra) নামক নগর সর্বশ্রেষ্ঠ; উহা প্রাচ্য-রাজ্যে, হিরণ্যবাহ নদ ও গঙ্গার সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। গঙ্গা ভারতীয় নদীসমূহের মধ্যে সর্বপ্রধান। হিরণ্যবাহ বোধ হয় তৃতীয় স্থানীয়, কিন্তু অন্য দেশের সর্বাপেক্ষা বৃহৎ নদী অপেক্ষাও বৃহৎ। কিন্তু উহা যে স্থলে গঙ্গায় পতিত হইয়াছে তথায় ইহা অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র। মেগাস্থেনীস আরও বলেন