যে এই নগরের যে ভাগে লোকের বসতি তাহার উভয় দিকে সর্বাধিক দৈর্ঘ্য আশী ষ্টাডিয়ম এবং বিস্তার পনর ষ্টাডিয়ম। এই নগর চতুর্দিকে পরিখাবেষ্টিত; পরিখার বিস্তার ছয় শত ফুট ও গভীরতা ত্রিশ হাত। নগর-প্রাচীরের পাঁচ শত সত্তর বুরুজ ও চৌষট্টি দ্বার। তিনি ভারতবর্ষ সম্বন্ধে এই একটি আশ্চর্য বিষয়ের উল্লেখ করিয়াছেন যে ভারতবাসিগণ সকলেই স্বাধান, কেহই ক্রীতদাস নহে। [স্পার্টান ও ভারতবাসীদিগের মধ্যে এ বিষয়ে ঐক্য আছে; কিন্তু স্পার্টাবাসীরা হীলটদিগকে ক্রীতদাস রূপে ব্যবহার করে, এবং তাহারা যাবতীয় দাসের কার্য্য সম্পাদন করে। ভারতবর্ষে ভিন্নদেশীয় দাসও নাই, ভারতবর্ষীয় দাস ত দূরের কথা।]
স্ট্রাবো
ভারতবাসীদিগের আচার-ব্যবহার
ভারতবাসিগণ সকলেই আহার সম্বন্ধে মিতাচারী—বিশেষত শিবিরে। তাহারা বিপুল জনসংঘ ভালবাসে না, এজন্য তাহাদের জীবন সুসংযত সুশৃঙ্খল। চৌর্য অত্যন্ত বিরল। মেগাস্থেনীস লিথিয়াছেন যে, যাহারা চন্দ্রগুপ্তের শিবিরে বাস করিয়াছিলেন (উহাতে চারি লক্ষ লোক অবস্থিতি করিত) তাঁহারা বলেন, ঐ শিবিরে কোন দিনই ত্রিশ মুদ্রার (Drachma) অধিক মূল্যের বস্তু অপহৃত হইয়াছে বলিয়া শুনা যায় নাই। ভারতবর্ষে লিখিত বিধির ব্যবহার নাই— তাহাতেই এইরূপ। ভারতবাসীরা লিখিতে জানে না, সুতরাং সমস্ত কার্যেই তাহাদিগকে স্মৃতির উপর নির্ভর করিতে হয়। তথাপি তাহারা সরলচিত্ত ও মিতাচারী বলিয়া সুখেই কালযাপন করে। তাহারা এক