চন্দ্রগুপ্তের নিকটে আনিতে পারা যায় নাই, কারণ তাহারা অন্নজল পরিত্যাগ করিয়া আত্মহত্যা করে। ইহাদিগের পায়ের গোড়ালি সম্মুখের দিকে, পাতা ও আঙ্গুলগুলি পশ্চাদ্দিকে।[১] কয়েকটা মুখবিহীন মানুষ আনীত হইয়াছিল, তাহারা শান্ত ছিল। তাহারা গঙ্গার উৎপত্তি
বশে চক্রে মহাতেজা দণ্ডকাংশ্চ মহাবলঃ।
সাগরদ্বীপবাসাংশ্চ নৃপতীন্ ম্লেচ্ছযোনিজান্।
নিষাদান্ পুরুষাদাংশ্চ কর্ণপ্রাবরণানপি।
যে চ কালমৃখা নাম নররাক্ষসযোনয়ঃ॥
ভারতবর্ষে আপামর সাধারণের বিশ্বাস এই যে বর্বর জাতির কর্ণ অত্যন্ত বৃহৎ; এজন্য কর্ণপ্রাবরণ, কর্ণিক, লম্বকর্ণ, মহাকর্ণ, উষ্ট্রকর্ণ, ওষ্ঠকর্ণ, পাণিকর্ণ প্রভৃতি নাম দৃষ্ট হয়।
ক্ষুরকর্ণী চতুষ্কণী কর্ণপ্রাবরণা তথা।
চতুষ্পথনিকেতা চ গোকর্ণী মহিষাননা॥
খরকর্ণী মহাকর্ণী ভেরীস্বনমহাস্বনা।
নৌকর্ণী মুখকর্ণীচ বশিরা মন্থিনী তথা”
অন্ধ্রাংস্তালবানংশ্চৈব কলিঙ্গান্ উষ্ট্রকর্ণিকান্।
কর্ণপ্রাবরণাশ্চৈব বহবন্তত্র ভারত।
- ↑ ক্টীসিয়স এবং বীটোও এই জাতির উল্লেখ করিয়াছেন। ইহারা Antipodes নামে ঈথিয়পীয়গণের মধ্যে পরিগণিত হইয়াছিল। ভারতীয় মহাকাব্যে ইহা “পশ্চাদঙ্গুলয়ঃ”
নামে পরিচিত।
তত্রাদৃশ্যন্ত রক্ষাংসি পিশাচাশ্চ পৃথগ্- বিধাঃ।
খাদস্তো নরমাংসানি পিবন্তঃ শোনিতানিচ!!