স্থলে বাস করে। তাহারা দগ্ধ মাংসের ঘ্রাণ ও ফলপুষ্পের সুগন্ধ গ্রহণ করিয়া প্রাণধারণ করে; কারণ তাহাদিগের মুখ নাই। তৎপরিবর্তে নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণের রন্ধ্র আছে। তাহারা দুর্গন্ধ দ্রব্য হইতে অতিশয় ক্লেশ পায়। এজন্য তাহাদিগের পক্ষে জীবনরক্ষা করা বড়ই কঠিন, বিশেষত শিবিরে।[১]
অন্যান্য অলৌকিক বিষয়ের প্রসঙ্গে পণ্ডিতগণ তাঁহাকে একপাদ (Okupodas) জাতির কথা বলিয়াছিলেন, ইহারা ঘোটক অপেক্ষাও দ্রুতগামী।[২] তাঁহারা কর্ণপ্রাবরণগণের (Enoctokoitai) উপাখ্যানও উল্লেখ করিয়াছিলেন। ইহাদিগের কর্ণ পদ পর্য্যন্ত বিলম্বিত, সুতরাং
করালা: পিঙ্গলাঃ রৌদ্রাঃ শৈলদন্তা রজস্বলাঃ।
জটিলা দীর্ঘসক্থাশ্চ পঞ্চপাদা মহোদরাঃ।।
পশ্চাদঙ্গুলয়ো রুক্ষা বিরূপা ভৈরবস্বনাঃ।
ঘণ্টাজালাববদ্ধাশ্চ নীলকণ্ঠা বিভীষণাঃ।।
সপুত্রদারাঃ সুক্ররাঃ সুদুধর্সা সুনিঘৃর্ণাঃ।
বিবিধানিচ রূপাণি তত্রাশ্যন্ত রক্ষসাম্॥
- ↑ মুখবিহীন জাতির উল্লেখ ভারতীয় গ্রন্থে দৃষ্ট হয় না। সংস্কৃত সাহিত্যে বর্ণরজাতিসমূহ সর্ব্বভক্ষ, বিশ্বভোজন, মাংসভক্ষক, আমিযাশী, পিশিতাশী, ক্রব্যাদ, আমভোজী প্রভৃতি আখ্যা প্রাপ্ত হইয়াছে।
- ↑ একপাদ জাতি কিরাতগণের এক শাখা। ক্টীসিয়সও ইহাদিগের বর্ণনা করিয়াছেন, কিন্তু তিনি ইহাদিগকে “ছায়াপদ” গণের সহিত এক মনে করিয়া ভ্রমে পড়িয়াছেন।
দ্ব্যক্ষাংপ্রক্ষান্ ললাটাক্ষান্নানাদিগ্ভ্যঃ সমাগতান্।
ঔষীকানস্ত্নাসাংশ্চ রোমকান পুরুষদিকান।;