পাতা:মেগাস্থেনীসের ভারত-বিবরণ - রজনীকান্ত গুহ (১৯৪৪).pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
মেগাস্থেনীসের ভারত-বিবরণ

নিম্নে অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানীয়; কিন্তু ইঁহারা যৎপরোনাস্তি স্বাধীনতা ও সুখসম্ভোগে কালযাপন করেন। ইঁহাদিগকে কেবল যুদ্ধ ও তৎসম্পর্কিত কর্ম করিতে হয়। অপরে ইঁহাদিগের অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণ করে, অপরে ইঁহাদিগের জন্য অশ্ব আহরণ করে; শিবিরে অপরে ইঁহাদিগের সেবা করে. ঘোটকের পরিচর্যা করে, প্রহরণ মার্জিত করে, হস্তী পরিচালন করে, রথ সজ্জিত করে ও সারথি হইয়া রথ চালায়। আর ইঁহারা যুদ্ধ করিবার আবশ্যক হইলে যুদ্ধ করেন এবং সন্ধি স্থাপিত হইলে সুখসম্ভোগে নিমগ্ন হন। ইঁহারা রাজকোষ হইতে এমত প্রচুর বেতন প্রাপ্ত হন যে তাহাতে স্বচ্ছন্দে আপনাদিগের ও অপরের ভরণপোষণ নির্বাহিত হয়।

 ষষ্ঠ জাতি পর্যবেক্ষক (Episcopoi) নামে অভিহিত ব্যক্তিগণ। গ্রামে ও নগরে কখন কি হইতেছে ইঁহারা তাহার অনুসন্ধান করেন; এবং অনুসন্ধানের ফল যে সকল রাজ্যে রাজা আছে তথায় রাজার নিকট ও যে সকল রাজ্য স্বতন্ত্র তথায় শাসনকর্তাদিগের নিকট প্রেরণ করেন। ইঁহাদিগের পক্ষে মিথ্যা সংবাদ প্রদান করিবার বিধি নাই; বস্তুত কোন ভারতবাসীই মিথ্যাকথন দোষে দোষী নহে।

 সপ্তম জাতি সচিবগণ। ইঁহারা রাজাকে ও স্বতন্ত্র নগরসমূহে শাসনকর্তাদিগকে রাজকার্যে পরামর্শ প্রদান করেন। এই জাতি সংখ্যায় অল্প, কিন্তু জ্ঞানে ও ন্যায়পরায়ণতায় সর্বশ্রেষ্ঠ। ইঁহারাই মণ্ডলাধিপতি (Nomarchai), অধস্তন শাসনকর্তা, কোষাধ্যক্ষ, সেনাপতি, পোতাধ্যক্ষ, কার্যাধ্যক্ষ (Tamiai) ও কৃষিপরিদর্শক নিযুক্ত করেন।

 এক জাতির সহিত অপর জাতির বিবাহ বিধিসঙ্গত নহে; যেমন, কৃষক শিল্পীদিগের মধ্যে কিংবা শিল্পী কৃষকদিগের মধ্যে বিবাহ করিতে পারে না। কাহারও পক্ষে দুই ব্যবসায় অবলম্বন করা কিংবা এক