জাতি হইতে অপর জাতিতে প্রবেশ করাও বিধিসঙ্গত নহে—যেমন রাখাল কৃষক হইতে পারে না কিংবা শিল্পী রাখাল হইতে পারে না। কেবল জ্ঞানী (অর্থাৎ সন্ন্যাসী) সকল জাতির লোকেই হইতে পারে, কেননা জ্ঞানীর জীবনযাত্রা সহজসাধ্য নহে, প্রত্যুত উহা সর্বাপেক্ষা কঠিন।
ষ্ট্রাবো
ভারতবাসিগণের সাতটি জাতি
মেগাস্থেনীস বলেন, ভারতবর্ষের অধিবাসিগণ সাতটি জাতিতে বিভক্ত। পণ্ডিতগণ (Philosophoi) মানমর্যাদায় সর্বশ্রেষ্ঠ, কিন্তু সংখ্যায় সর্বাপেক্ষা ন্যূন। কেহ যজ্ঞ কিংবা অপর কোনও ধর্মানুষ্ঠান সম্পাদন করিতে চাহিলে ইঁহাদিগের সাহায্য গ্রহণ করেন। রাজাও ইঁহাদিগকে মহাসমিতি নামে অভিহিত প্রকাশ্য সভাতে আহ্বান করেন। তদুপলক্ষে সমুদায় পণ্ডিতগণ নববর্ষের প্রারম্ভে রাজপ্রাসাদের দ্বারদেশে রাজার সম্মুখে সমবেত হন; তখন কেহ সাধারণের হিতকর কিছু লিখিয়া থাকিলে, কিংবা শস্য ও পশু, ও রাজ্যের উন্নতিবিধায়ক কিছু পর্যবেক্ষণ করিয়া থাকিলে তাহা প্রকাশ্যে ব্যক্ত করেন। যদি কাহারও গণনা তিন বার মিথ্যা বলিয়া প্রমাণিত হয় তবে তাঁহাকে যাবজ্জীবন মৌনী থাকিতে হয়, ইহাই বিধি। কিন্তু যাঁহারা হিতকর উপদেশ প্রদান করেন তাঁহারা কর ও শুল্ক হইতে অব্যাহতি পাইয়া থাকেন।
দ্বিতীয় জাতি কৃষকগণ। ইহারা সর্বাপেক্ষা নিরীহ ও সংখ্যায় সর্বাপেক্ষা অধিক। ইহাদিগকে যুদ্ধ করিতে হয় না; ইহারা নির্ভয়ে