আপন আপন কর্মে নিযুক্ত থাকে। ইহারা কখনও নগরে গমন করে না—তথাকার বিবাদ কোলাহলে যোগ দিবার জন্যও নহে, অপর উদ্দেশ্যেও নহে। সুতরাং প্রায়শই দেখা যায়, একই সময়ে একই স্থানে যোদ্ধাগণ যুদ্ধার্থ সজ্জিত হইয়াছে ও জীবনপণ করিয়া সংগ্রাম করিতেছে আর কৃষকগণ নির্বিঘ্নে ভূমিখনন ও কর্ষণ করিতেছে, কারণ সৈন্যগণই তাহাদিগের রক্ষক। সমুদায় ভূমিই রাজার। কৃষকগণ শ্রমের বিনিময়ে উৎপন্ন শস্যের চতুর্থাংশ প্রাপ্ত হয়।
তৃতীয় জাতি পশুপালক ও ব্যধগণ। কেবল ইহারাই শিকার, পশুপালন এবং ভারবাহী পশু ক্রয় ও তাহার ব্যবসায় করিতে পারে। ইহারা দেশকে বন্যপশু ও বীজভোজী পক্ষী হইতে মুক্ত রাখে এবং তজ্জন্য রাজার নিকট হইতে শস্য প্রাপ্ত হয়। ইহারা যাযাবর, শিবিরে জীবন যাপন করে।
পশুপালক ও ব্যাধগণের পরে চতুর্থ জাতি। শিল্পী, পণ্যজীবী ও দৈহিক শ্রমে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ এই জাতিভুক্ত। ইহাদিগের মধ্যে কাহাকে কাহাকেও কর দিতে হয় ও রাজ্যের জন্য নির্দিষ্ট কর্ম সম্পাদন করিতে হয়। কিন্তু যাহারা অস্ত্রশস্ত্র ও নৌকা নির্মাণ করে তাহারা রাজকোষ হইতে বেতন ও আহার্য প্রাপ্ত হয়। কারণ ইহারা কেবল রাজার জন্য শ্রম করে। সেনাপতি সৈন্যদিগকে অস্ত্রশস্ত্র প্রদান করেন, এবং পোতাধ্যক্ষ উপযুক্ত অর্থ লইয়া যাত্রী ও পণ্যজাত বহনের জন্য নৌকা যোগাইয়া থাকেন।
পঞ্চম জাতি যোদ্ধাগণ। ইঁহারা যুদ্ধ ভিন্ন অপর সময়ে আলস্যে ও মদ্যপানে জীবন অতিবাহিত করেন। রাজকোষ হইতে ইঁহাদিগের ভরণপোষণের ব্যয় নির্বাহিত হয়, সুতরাং ইঁহারা আবশ্যক হইলেই যুদ্ধক্ষেত্রে গমন করিতে প্রস্তুত আছেন, কারণ ইহাদিগকে স্বীয় দেহ ভিন্ন আর কিছুই সঙ্গে লইয়া যাইতে হয় না।