পাতা:মেগাস্থেনীসের ভারত-বিবরণ - রজনীকান্ত গুহ (১৯৪৪).pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
মেগাস্থেনীসের ভারত-বিবরণ
৩৫

 ষষ্ঠ জাতি পর্যবেক্ষকগণ। ইহাদিগকে রাজ্যের সমুদায় ঘটনা অনুসন্ধান করিয়া গোপনে রাজাকে জানাইতে হয়। ইঁহারা কেহ নগরে কেহ শিবিরে স্থাপিত হন এবং উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য নগরের ও শিবিরের বারাঙ্গনাদিগকে সহায় রূপে গ্রহণ করেন। সর্বাপেক্ষা দক্ষ ও বিশ্বাসভাজন ব্যক্তিরাই এই কর্মে নিযুক্ত হইয়া থাকেন।

 সপ্তম জাতি রাজার সচিব ও মন্ত্রিগণ। রাজ্যের সর্বোচ্চপদসমূহ, ন্যায়াধিকরণ ও দেশশাসনের সাধারণ কর্ম—সমুদায়ই ইহাদিগের হস্তে।

 এক জাতির লোক অপর জাতিতে বিবাহ করিতে পারে না কিংবা অপর জাতির ব্যবসায় অবলম্বন করিতে পারে না, এবং পণ্ডিতগণ ভিন্ন কেহই একাধিক কর্মে নিযুক্ত হইতে পারে না। পণ্ডিতগণ ধর্মনিষ্ঠ বলিয়া এই অধিকার প্রাপ্ত হইয়াছেন।


ষ্ট্রাবো

শাসনপ্রণালী

ঘোটক ও হস্তী ব্যবহার

 শাসনকর্তৃগণের মধ্যে কেহ কেহ ক্রয়-বিক্রয়ের স্থানে কেহ কেহ নগরে এবং কেহ কেহ শিবিরে প্রতিষ্ঠিত। কেহ কেহ নদীসমূহ পর্যবেক্ষণ করেন ও ঈজিপ্ট দেশের মত ভূমি পরিমাপ করেন। যাহাতে সকলেই সমভাবে জল প্রাপ্ত হয় এতদুদ্দেশ্যে যে সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পয়ঃপ্রণালী দ্বারা বৃহত্তর প্রণালী হইতে জলধারা আনীত হয় ইঁহারা সেগুলির তত্ত্বাবধান করেন। এই সকল পয়ঃপ্রণালী ইচ্ছানুরূপ বন্ধ করা যায়। ইঁহারা শিকারীদিগের উপর কর্তৃত্ব করেন, এবং যে