আরিয়ান
ভারতবর্ষের অধিবাসিগণ
মেগাস্থেনীস বলেন যে, ভারতীয় জাতিসমূহের সংখ্যা এক শত আঠার। [ভারতীয় জাতিসমূহের সংখ্যা বহু, এই পর্যন্ত আমি মেগাস্থেনীসের সহিত একমত; কিন্তু আমি নিশ্চিত রূপে বুঝিতে পারিতেছি না যে তিনি কিপ্রকারে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে জানিয়া এই সংখ্যা লিপিবদ্ধ করিলেন, কারণ তিনি ভারতবর্ষের অধিকাংশই দর্শন করেন নাই এবং সমুদায় জাতির মধ্যেও আদানপ্রদান ও গতায়াত নাই।]
ডায়োনীসস
(মেগাস্থেনীস বলেন যে) ভারতবাসিগণ প্রাচীনকালে শকদিগের ন্যায় যাযাবর ছিল। এই শকগণ ভূমি কর্ষণ করিত না। তাহারা ঋতু অনুসারে শকটে শকভূমির এক প্রদেশ হইতে অন্য প্রদেশে পরিভ্রমণ করিত। তাহারা নগরে বাস করিত না কিম্বা মন্দিরে দেবতাদিগের আরাধনা করিত না। এইরূপ, ভারতবাসীদিগেরও নগর কিংবা দেবমন্দির ছিলনা। তাহারা যে বন্য পশু হত্যা করিত তাহারই চর্ম পরিধান করিত এবং বৃক্ষবল্কল আহার করিয়া প্রাণধারণ করিত। ভারতীয় ভাষায় এই বৃক্ষের নাম তাল। খজুর বৃক্ষের মস্তকে যেমন ফল জন্মে তেমনি এই বৃক্ষের মস্তকে পশমের গোলকের মত ফল জন্মে। তাহারা যে বন্য পশু ধরিতে পারিত তাহা আহার করিয়াও প্রাণ ধারণ করিত, তাহারা আমমাংস ভোজন করিত—অন্তত ডায়োনীসসের ভারতবর্ষে গমনের পূর্ব্বে এইরূপ প্রথা ছিল। কিন্তু ডায়োনীসস ভারতবর্ষে যাইয়া তদ্দেশবাসিগণের অধীশ্বর হন, অনেক নগর প্রতিষ্ঠা করেন ও উহাদিগের জন্য বিধি প্রণয়ন করেন, যেমন গ্রীসে তেমনি ভারতবাসীদিগের মধ্যে মদ্যের ব্যবহার প্রচলন করেন এবং তাহাদিগকে ভূমিতে বীজ