হার্কুয়্যলিস
কিন্তু শুনা যায় যে হীরাক্লীস প্রকৃতপক্ষে ভারতবর্ষেই জন্মগ্রহণ করেন, যদিও প্রচলিত জনশ্রুতি এই যে তিনি ভিন্ন দেশ হইতে এদেশে আগমন করেন। এই হীরাক্লীসকে সৌরসেনীরা (Sourasenoi) বিশেষভাবে পূজা করে; ইহারা একটি ভারতীয় জাতি; মথুরা (Methora) ও কৃষ্ণপুর (Kleisobora) নামক ইহাদিগের দুইটি নগর আছে; যমুনা (Jobares) নামক নৌচলনোপযোগী নদী ইহাদিগের দেশ দিয়া প্রবাহিত হইতেছে। কিন্তু মেগাস্থেনীস বলেন যে এই হারাক্লীস থীব্স—দেশীয় হীরাক্লীসের মত বস্ত্র পরিধান করেন, ভারতবাসীরাও তাহা স্বীকার করে। ভারতবর্ষে ইঁহার বহুসংখ্যক পুত্র জন্মগ্রহণ করে (কারণ থীব্সের হীরাক্লীসের ন্যায় ইনিও অনেক রমণীর পাণিপীড়ন করেন), কিন্তু কন্যা মাত্র একটি হয়। এই কন্যার নাম পাণ্ড্যা (Pandaia)। যে দেশে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ও হীরাক্লীস তাঁহাকে যাহার রাজত্ব প্রদান করেন তাঁহার নামানুসারে তাহা পাণ্ড্য (Pandaia) নামে অভিহিত হয়। তিনি পিতার নিকট হইতে পাঁচ শত হস্তী, চারি সহস্র অশ্বারোহী ও এক লক্ষ ত্রিশ হাজার পদাতিক সৈন্য প্রাপ্ত হন। কোন কোনও ভারতীয় লেখক হীরাক্লীস সম্বন্ধে এইরূপ বলিয়া থাকেন— যখন হীরাক্লীস পৃথিবীকে হিংস্রজন্তুশূন্য করিবার উদ্দেশ্যে জলে স্থলে সর্বত্র পরিভ্রমণ করিতেছিলেন তখন তিনি সমুদ্রে নারীজাতির একটি ভূষণ প্রাপ্ত হন। [অদ্যাপি যে সকল ভারতীয় বণিক্ আমাদিগের নিকট পণ্যদ্রব্য বিক্রয় করে তাহারা আগ্রহাতিশয় সহকারে উহা ক্রয় করিয়া বিদেশে লইয়া যায়। প্রাচীন কালে ধনী ও বিলাসী গ্রীকগণের ন্যায় বর্তমান সময়ে ধনী ও বিলাসী রোমকগণ ইহা অধিকতর আগ্রহের সহিত ক্রয় করে।] ভারতীয়