এইজন্য তিনি কন্যাকে বিবাহযোগ্যা করেন এবং এইজন্যই যে জাতির উপর পাণ্ড্যা রাজত্ব করেন তাহারা সকলেই হীরাক্লীসের নিকট হইতে এই অধিকার প্রাপ্ত হয়। [এখন আমার মনে হয়, হীরাক্লীস যদি এমন একটা অত্যাশ্চর্য কর্ম সম্পাদন করিতে পারিয়াছিলেন তবে তিনি যথাকালে কন্যায় অভিগমন করিবার উদ্দেশ্যে আপনাকে আরও দীর্ঘজীবী করিতেও পারিতেন। কিন্তু বাস্তবিক রমণীদিগের বিবাহযোগ্য বয়স সম্বন্ধে যাহা উক্ত হইয়াছে তাহা যদি সত্য হয় তবে আমার বোধ হয় পুরুষদিগের বয়স সম্বন্ধে যে কথিত হইয়াছে—যাহারা অত্যধিক দীর্ঘজীবী তাহারাও চল্লিশ বৎসর বয়সে মৃত্যুমুখে পতিত হয়—তাহাও সর্বথা সঙ্গত। কারণ যাহারা এত শীঘ্র বার্ধক্যে উপনীত হয়, এবং বার্ধক্যে উপনীত হইয়াই মৃত্যুমুখে পতিত হয় তাহারা নিশ্চয়ই শীঘ্র শীঘ্র যৌবনে পদার্পণ করিবে ইহাই যুক্তিযুক্ত। সুতরাং এদেশে পুরুষগণের মধ্যে ত্রিশ বৎসর বয়সেই বার্ধক্যের প্রথম চিহ্ন দৃষ্ট হইবে, যুবকেরা কুড়ি বৎসর বয়সেই যৌবন অতিক্রম করিবে এবং প্রায় পঞ্চদশ বর্ষ বয়সেই তাহারা পূর্ণযৌবন লাভ করিবে। এই নিয়মাণ্ডুসারেই নারীজাতি সাত বৎসর বয়সে বিবাহযোগ্যা হইবে।] কেননা, মেগাস্থেনীস স্বয়ংই লিখিয়াছেন যে এ দেশে ফলশস্যও অপরাপর দেশ অপেক্ষা শীঘ্র শীঘ্র পরিপক্ক ও বিনষ্ট হয়।
ভারতবর্ষের প্রাচীন ইতিহাস
ভারতবর্ষীয়গণের গণনানুসারে ডায়োনীসস হইতে চন্দ্রগুপ্ত পর্যন্ত ৬০৪২ বৎসরে ১৫৩ জন নৃপতি রাজত্ব করেন; কিন্তু এই কালের মধ্যে তিন বার সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। *** আর একটি ৩০০ বৎসর এবং আর একটি ১২০ বৎসর। ভারতবর্ষীয়েরা বলে যে ডায়োনীসস হীরাক্লীসের পনর পুরুষ পূর্বে বর্তমান ছিলেন এবং এক