অধিক বলবান্। ভারতবর্ষীয়েরা বহুসংখ্যক হস্তী ধৃত ও যুদ্ধের জন্য শিক্ষিত করে; এজন্য জয়লাভের পক্ষে ইহাদিগের দ্বারা প্রচুর সহায়তা হইয়া থাকে।
এইরূপে, দেশে অপর্যাপ্ত আহার্য সামগ্রী প্রাপ্ত হওয়াতে অধিবাসীগণও অতিশয় হৃষ্টপুষ্ট ও উন্নতকায় বলিয়া প্রসিদ্ধ। তাহারা বিশুদ্ধ বায়ু সেবন ও স্বাদুতম জল পান করে; সুতরাং তাহারা শিল্পকর্মে সুনিপুণ। ভারতবর্ষের ক্ষেত্রে যেমন সর্ববিধ কৃষিজাত শস্য উৎপন্ন হয় তেমনি ইহার কুক্ষিতে সকল প্রকার ধাতুর খনি আছে। এই সকল খনিতে প্রচুর স্বর্ণ ও রৌপ্য, অল্প তাম্র ও লৌহ, এমন কি কাংস্য টিন বা (Kassiteros) ও অন্যান্য ধাতুও প্রাপ্ত হওয়া যায়। এই সকল ধাতু অলঙ্কার, আবশ্যক দ্রব্যসামগ্রী, ও যুদ্ধের উপকরণ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়।
ভারতবর্ষে যব প্রভৃতি ব্যতীত চীনা যোয়ার ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়; এগুলি নদী হইতে আনীত বহুসংখ্যক জলপ্রণালী দ্বারা সিক্ত থাকে। এতদ্ব্যতীত উহাতে বহুল পরিমাণে বিবিধ প্রকারের ডাল, ধান্য, বস্পরম্ (bosporon) নামক শস্য এবং প্রাণধারণোপযোগী বহুবিধ শাকসবজী উৎপন্ন হয়। (শেষোক্ত খাদ্যদ্রব্যগুলি স্বতঃই জন্মিয়া থাকে।) জীবনযাত্রা নির্বাহোপযোগী অন্যান্য খাদ্যসামগ্রীও অল্প উৎপন্ন হয় না। কিন্তু সে সমুদায় উল্লেখ করিতে গেলে প্রবন্ধ দীর্ঘ হইয়া পড়ে। এজন্য শুনিতে পাই ভারতবর্ষে কখনও দুর্ভিক্ষ বা দেশব্যাপী খাদ্যাভাব জনসাধারণকে প্রপীড়িত করে ন॥ কারণ এদেশে বৎসরে দুই বার বর্ষা উপস্থিত হয়। শীতকালে বারিপাত হইলে অন্যান্য দেশের ন্যায় গোধূম বপন সম্পন্ন হয়। কর্কটক্রান্তির পর (অর্থাৎ গ্রীষ্মকালে) দ্বিতীয় বার বারিপাত আরম্ভ হইলে ধান্য, বম্পরম্, তিল এবং চীনা যোয়ার প্রভৃতি উপ্ত হয়। ভারতবর্ষীয়েরা প্রায়ই বৎসরে দুই বার শস্য সংগ্রহ করে;