বন্দে নোমাইয়া শিরঃ মন্দ সমীরণে!
উত্তরিলা রঘুপতি; “শুন, সুকেশিনি,
বিবাদ না করি আমি কভু অকারণে।
অরি মম রক্ষঃ-পতি; তোমরা সকলে
কুলবালা; কুলবধূ; কোন্ অপরাধে
বৈরি-ভাব আচরিব তোমাদের সাথে?
আনন্দে প্রবেশ লঙ্কা নিঃশঙ্ক হৃদয়ে।
জনম রামের, রামা, রঘুরাজ-কুলে
বীরেশ্বর[১]; বীরপত্নী, হে সুনেত্রা দূতি,
তব ভর্ত্রী, বীরাঙ্গনা সখী তাঁর যত।
কহ তাঁরে শত মুখে বাখানি, ললনে,
তাঁর পতি-ভক্তি আমি, শক্তি, বীরপণা—
বিনা রণে পরিহার মাগি তাঁর কাছে!
ধন্য ইন্দ্রজিৎ! ধন্য প্রমীলা সুন্দরী!
ভিখারী রাঘব, দূতি, বিদিত জগতে;
বন-বাসী, ধন-হীন বিধি-বিড়ম্বনে;
কি প্রসাদ, সুবদনে, (সাজে যা তোমারে)
দিব আজি? সুখে থাক, আশীর্ব্বাদ করি!”
এতেক কহিয়া প্রভু কহিলা হনূরে;
“দেহ ছাড়ি পথ, বলি। অতি সাবধানে,
শিষ্ট আচরণে তুষ্ট কর বামা-দলে।”
প্রণমিয়া সীতানাথে বাহিরিলা দূতী।
হাসিয়া কহিলা মিত্র বিভীষণ “দেখ,
প্রমীলার পরাক্রম দেখ বাহিরিয়া,
রঘুপতি! দেখ, দেব, অপূর্ব্ব কৌতুক।
- ↑ রঘুরাজকুলে বীরেশ্বর—দিলীপপুত্র রঘু দিগ্বিজয়ী ছিলেন। আমি বীরকুলোদ্ভব, অতএব সর্ব্বত্রই আমাকর্তৃক বীরবীর্য্য সম্মানিত হইয়া থাকে।