পাতা:মেঘনাদবধ কাব্য - মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৯৪০).pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৪৭৫—৪৯৬
মেঘনাদবধ কাব্য: তৃতীয় সর্গ
৯৭

কহিলেন রঘুমণি মিত্র বিভীষণে;
“কৃপা করি, রক্ষোবর, লক্ষ্মণেরে লয়ে,
দুয়ারে দুয়ারে সখে, দেখ সেনাগণে;
কোথায় কে জাগে আজি? মহাক্লান্ত সবে
বীরবাহু সহ রণে। দেখ চারি দিকে—
কি করে অঙ্গদ; কোথা নীল মহাবলী;
কোথা বা সুগ্রীব মিতা? এ পশ্চিম দ্বারে
আপনি জাগিব আমি ধনুর্ব্বাণ হাতে!”
“যে আজ্ঞা,” বলিয়া শূর বাহিরিলা লয়ে
ঊর্মিলা-বিলাসী শূরে॥ সুরপতি-সহ
তারক-সূদন যেন শোভিলা হুজনে,
কিম্বা ত্বিষাম্পতি-সহ ইন্দু সুধানিধি।~~
লঙ্কার কনক-দ্বারে উতরিলা সতী
প্রমীলা। বাজিল শিঙ্গা, বাজিল দুন্দুভি
ঘোর রবে; গরজিল ভীষণ রাক্ষস,
প্রলয়ের মেঘ কিম্বা করিযূষ যথা!
রোষে বিভুপাক্ষ রক্ষঃ প্রক্ষেড়ন করে;
তালজঙ্ঘা—তাল-সম-দীর্ঘ-গদাধারী,
ভীমমূর্ত্তি প্রমত্ত! হেষিল অশ্বাবলী।
নাদে গজ; রথ-চক্র ঘুরিল ঘর্ঘরে;
দুরন্ত কৌন্তিক-কুল কুম্ভে অস্ফিালিল;
উড়িল নারাচ, আচ্ছাদিয়। নিশানাথে।
১১।
তারকলুদন-কার্ত্তিকেয়।
১২। ত্বিষাম্পতি—সূর্য্য। ইন্দু-চঞ্জ।
১৭। রোষে-রোষ করিয়া উঠিল।
২১। কৌঙ্কিক—কুম্ভধারী যোধদল। কুন্ত—এক প্রকাব শূল।
২২। নারাচ-লৌহময় বাণবিশেষ।


১৩