৪র্থ অঙ্ক মেঘনাদ বধ নাটক। *> হ। বিধাতঃ ! তুই সুখী না কল্পে, কি কেউ মুখী হতে পারে : রাম পতি, আর লক্ষ্মণ দেবর পেয়েও আমি মুখের মুখ দেখতে পেলাম না, হা নাথ ! তোমার সেই সহাস্য বদম কি কখন আর দেখ বে। —আর কখন কি তোমার সেই স্থধাসিক্ত প্রেম ময় বচন শুনৃবো ? হায় ! আমি কি কুক্ষণে সেই সুবর্ণ মৃগ অভিলাষ কর্যে ছিলাম । হে দেবর লক্ষণ ! কি কুক্ষণে তোমাকে ভৎসন করে প্রভুর অম্বেষণে পাঠিয়ে ছিলাম । সেই সুবর্ণ মৃগই আমার কাল হলো, রে দারুণ বিধি ! দুঃখলিলে পুর্ণাহুতি দিবারজনই কি তুই সীতার স্বজন করেছিলি ? হে জীবিতেশ্বর ! তুমি যে সীতাকে নিমিষে হারাতে, তুমি যাকে হৃদয়ে ধর্যেও তৃপ্তি বোধ ক্ষত্যে মা-হে দেবর লক্ষণ ! ছায়ার মত অনুগত ভূত্যের ন্যায়, তুমি যার সেবায় রত ছিলে সেই সীত, সেই রাম-হার। কীজালিনী আজ এই নিশীথ সময়ে একাকিনী এই রক্ষম বেষ্টিত অরণ্য মধ্যে রোদন কচ্চে । ( দুরে সরমার প্রবেশ । ) হে সীত। নাথ ! এই সময় এক বার এসে সীতার চক্ষের জল মুচাও ! সীতার জীবন সার্থক হোক । রাগিণী গারাভৈরবী—তাল মধ্যমান । কোথা হে এসময় রছিলে দয়াল রাম । কাদে দুঃখিনী জানকী দেখ জালি গুণধাম ॥
পাতা:মেঘনাদবধ নাটক.djvu/২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।