পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ye মেঘ-মঞ্জর তার মনে হছিল-দেবী সরস্বতী স্বয়ং ? শ্বেতপদ্মের মত নাকি রংটি তঁার, না জানি ক'ত সুন্দর তঁর মুখশ্ৰী ! আচাৰ্য্য বসুব্রত বলেন বটে।-- ভদ্রাবতী নদীর ধারে শাল-পিয়াল-তমাল বনে সে-বার ঘনঘোর বর্ষ। নামূল। সারা আকাশ জুড়ে কোন বিরাহিণী পুরসুন্দরীর অষত্নবিন্যস্ত মেঘবরণ চুলের রাশ এলিয়ে দেওয়া, প্ৰাবুট-রজনীর ঘনান্ধকার তার প্রিয়হীন প্ৰাণের নিবিড় নির্জনতা, দূর বনের ঝোড়ো হাওয়ায় তার আকুল দীর্ঘশ্বাস, তারই প্রতীক্ষাপ্ৰান্ত আঁখি-দুটির অশ্রাভারে ঝরঝর অবিশ্ৰান্ত বারিবর্ষণ, মেঘমেদুর আকাশের বুকে বিদ্যুৎ চমক তার হতাশ প্ৰাণে ক্ষণিক আশার মেঘদূত ! আষাঢ়ী পূর্ণিমার রাতে প্ৰদ্যুম্ন সুরদাসের সঙ্গে নদীর মাঠে গেল। তারা যখন সেখানে পৌছল, তখন মেঘ নেমে সমস্ত আকাশ ছেয়ে ফেলেছে, চারিদিক তরল অন্ধকারে অস্পষ্ট দেখাচ্ছে । প্ৰত্যুম্ন সুরদাসের কথামত নদী থেকে স্নান ক’রে এসে বস্ত্র পরিবর্তন করলে । সঙ্গীর ক্রিয়াকলাপে প্ৰদ্যুম্ন বুঝতে পারলে তিনি একজন তান্ত্রিক। তাদের বিহারে একজন ভিক্ষু ছিলেন, তিনি যোগাচাৰ্য্য পদ্মসম্ভবের শিষ্য। সেই ভিক্ষুর কাছে তান্ত্রিক ক্রিয়াকলাপের কথা কিছু কিছু সে শুনেছিল। সুরদাস অনেকগুলো রক্ত ও বার মালা সঙ্গে ক’রে এনেছিলেন, তার মধ্যে কতকগুলো তিনি নিজে পারলেন, কতকগুলো প্ৰদ্যুমুকে পরতে বললেন । ছোট মড়ার মাথার খুলিতে তেল সলতে দিয়ে প্ৰদীপ জালালেন। তার পূজার আয়োজনে সাহায্য করতে করতে প্ৰদ্যুম্ন স্থাপিয়ে পড়ল। ব্যাপারটার শেষ পৰ্য্যন্ত কি দাড়ায় দেখবার জন্যে তার মনে এত কৌতুহল হছিল যে, অন্ধকার, রাতে একজন প্ৰায়-অপরিচিত তান্ত্রিকের সঙ্গে একা থাকবার ভয়ের দিকটা তার একেবারেই চোখে পড়ল না। অনেক রাত্রে হোম শেষ হ’ল । সুরদাস বললেন-প্ৰদ্যুম্ন, তুমি এবার তোমার কাজ আরম্ভ করো, আমার কাজ শেষ হয়েছে। খুব সাবধান, তোমার কৃতিত্বের ওপর এর সাফল্য নির্ভস্ক rtti