পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*-露f丽 ক’রে তার বুকে যে লজ্জা আর ব্যথার শূল বিদ্ধ করলুম, সে ম্যাথার প্ৰতিঘাত অদৃষ্ঠভাবে আমার নিজের বুকে গিয়েও বাজল ! আমি তাড়াতাড়ি দুই হাতে তার পায়ের ধূলো নিয়ে তার হাত থেকে নোটখানা ও খাবার দুই নিয়ে বললুম-বৌদি, ভাই ব'লে এ অপরাধ এবারটা মাপ করুন আমার । আর কখনো আপনার কথার অবাধ্য হবে না । বৌদিদির চোখের জল তখনও থামেনি। দুই চোখ জলে ভরা সে তরুণী দেবী মূৰ্ত্তির দিকে ভাল ক'রে চাইতে না পেরে আমি মাথা নীচু ক’রে অপরাধীর মত দাড়িয়ে রইলুম।-- বাড়ী এসে দেখলুম। কলার পাতের মধ্যে কতকগুলো দুগ্ধশুস্ত্ৰ চন্দ্রপুলি, স্বন্দর ক'রে তৈরী। সমস্ত রাত ঘুমের ঘোরে বৌদিদির বিষন্ন মুখের কাতর। দৃষ্টি বারবার চোখের সামনে ভাসতে লাগল।-- মাস খানেক কেটে গেল । প্রায়ই বৌদিদির সঙ্গে দেখা হ’ত । এখন আমরা ভাই-বোনের মত হয়ে উঠেছিলুম, সেই রকমই পরস্পরকে ভাবতুম। একদিন আসছি, ফ্রানেল সার্টের একটা বোতাম আমার ছিল না। বৌদি জিজ্ঞাসা করলেন-এ কি, বোতাম কোথায় গেল ? আমি বললুম-সে কোথায় গিয়েছে বৌদি, বোতাম পরাতে জানিনে কাজেই ঐ অবস্থা । 总 তার পরদিন দেখলুম। তিনি ছুচি সুতো বোতাম সমেতই এসেছেন। আমি বললুম-বৌদি, এটা ঘাটের পথ, আপনি বোতাম পরাতে পরাতে কেউ যদি দেখে তো কি মনে করবে। আপনি বরং ছাঁচটা আমায় দিন, আমি বাড়ী গিয়ে চেষ্টা করব এখন । বৌদিদি হেসে বললেন-তুমি চেষ্টা ক’রে যা করবে তা আমি জানি, নাও স’রে এস এদিকে । বাধ্য হয়ে স’রেই গেলুম, তিনি বেশ নিশ্চিন্ত ভাবেই বোতাম পরাতে লাগলেন। ভয়টা দেখলুম। তার চেয়ে আমারই হ’ল বেশী। ভাবলুম, বৌদির