পাতা:মেঘ-মল্লার - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

XVe t সেদিনই বিকালে জিনিষ-পত্র গুছিয়ে নিয়ে চিরদিনের মত সে গ্রাম পরিত্যাগ করলুম। মাঠের কোলে ছাতিম গাছের বনের মধ্যে কোথায় ঘুঘু ডাকছিল।-- DB BD DDB Bu uDDB BBBD BDBDDBBuDDBBD DBDDS তারপর জীবনে কত ঘটনা ঘ’টে গেল। ভগবানের কি অসীম করুণার দানই আমাদের এই জীবনটুকু ! উপভোগ ক’রে দেখলুম, এ কি মধু-"কত নতুন দেশ, নতুন মুখ, কত জ্যোৎস্না-রাত্রি, নতুন নব-ঝোপের নতুন ফুল, কত যুঁই ফুলের মত শুভ্ৰ নিৰ্ম্মল হৃদয়, কান্না-জড়ান কত সে মধুর স্মৃতি • • • কাকার কাছে মোরদাবাদে কাচের কারখানায় গেলুম। বছরখানেক পরে তারা আমায় পাঠিয়ে দিলে জাৰ্ম্মানীতে কাচের কাজ শিখতে। তারপর কোলোয়ে গেলুম, কাটা বেলোয়ারী কাচের কারখানায় কাজ শেখবার জন্যে। কোলোয়ে অনেক দিন রইলুম। সেখানে থাকতে একজন আমেরিকান যুবকের সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব হল, তিনি ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট । “শিকাগো ইণ্টার-ওখান” কাগজের তিনি ফ্রান্স দেশস্থ সংবাদদাতা । কোলোয়ে সব সময় না থাকলেও তিনি প্রায়ই ওখানে আসতেন। তারই পরামর্শে তার সঙ্গে আমেরিকায় গেলুম। তার সাহায্যে দু'তিনটা বড় বড় কাচের কাবখানাধ কাজ দেখবার সুযোগ পেলাম--পিটসবাৰ্গে কাৰ্ণেগীর ওখানে প্রায় ছ'মাস রইলুম, নতুন ধরণের ব্লাষ্টফার্ণেসের কাজ ভাল ক’রে বোঝবার জন্যে ।--মিডল ওয়েষ্টের একটা কাচের কারখানায় প্ৰভাত দে কি বসু ব’লে একজন বাঙালী যুবকের সঙ্গে দেখা হ’ল, তারও বাড়ী চধিবশপরগণা জেলায়। সে ভদ্রলোক নিঃসম্বলে জাপান থেকে আমেরিকায় গিয়ে মহা হাবুডুবু খাচ্ছিলেন তারই মুখে শুনলুম, সেয়াটল-এ একটা নূতন কাচের কারখানা খোলা হচ্ছে। আমি জাপান দিয়ে আসব স্থির করেছিলুম, কাজেই আসবার সময় সেয়াটুলীগেলুম। তারপর জাপান ঘুরে দেশে এলুম।--ম